ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সাতক্ষীরায় ১৪৬৮ বাড়ি বিধ্বস্ত
নদীতে ভাটার সময় ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানায় বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেলেও আতঙ্ক কাটেনি সাতক্ষীরা উপকূলীয় জনপদে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সাতক্ষীরায় বিধ্বস্ত হয়েছে ১হাজার ৪৬৮ বাড়ি। এছাড়া, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার প্রায় ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৬ জন মানুষ।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনিতে জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ উপচে এবং প্রবল বর্ষণে মৎস্য ঘের প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে জেলে পল্লী। বেড়িবাঁধ ভেঙে লবণাক্ত পানিতে জনপদ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ফসলের মাঠ, ঘের-পুকুর লোনা পানিতে ভেসে গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ১ হাজার ৪৬৮ বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ৪৩টি ইউনিয়নের মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সাতক্ষীরা শহরেও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৬ মানুষ।
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকাত মোড়ল নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নাপিতখালী গ্রামের মৃত নরিম মোড়লের ছেলে।
প্রবল জোয়ারে নদীর পানি ছাপিয়ে কোথাও কোথাও লোকালয়ে প্রবেশ করলেও বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি। তবে সোমবারের টানা বর্ষণে ২০০ হেক্টর মাছের ঘরের ক্ষতি হয়েছে। ২০৪ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব টানা দুই দিন ধরে চলছে। বিভিন্ন উপজেলায় মানুষের জানমালসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ সকল ক্ষতির তালিকা নিরূপণ করে সহযোগিতা করা হবে।