দেনার দায়ে মেয়েকে হত্যার পর বিষপানে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দেনার দায়ে একমাত্র মেয়ে ফাউজিয়া শেহতাজ মৃত্তিকাকে (৪) ঘুমের ওষুধ ও বালিশচাপায় হত্যার পর আত্বহত্যার চেষ্টা করেছেন মাসরুল হোসাইন (৩৫) ও মীরা আফরোজ সাথী (৩০) দম্পতি। আজ সোমবার ভোররাতে সন্তানের মৃত্যু নিশ্চিতের পর তারা ঘুমের ওষুধ ও কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। টের পেয়ে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
মাসরুল হোসেন জাপান টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রির সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগে ময়মনসিংহ জোনে চাকরি করেন। তিনি পরিবার নিয়ে উত্তর গোপালপুরে হারুন অর রশিদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
মাসরুল হোসাইন বলেন, ‘মাসখানেক আগে ময়মনসিংহে কোম্পানির ২ লাখ ২০হাজার টাকা আমার থেকে ছিনতাই হয়। পরে চাকরি চলে যায় এবং কোম্পানি টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। উপায়ান্তর না পেয়ে রবিবার বিভিন্ন ফার্মেসি ও দোকান থেকে১২০টি ঘুমের ওষুধ ও কীটনাশক কিনে আনি। মধ্যে রাতের পর একমাত্র কন্যাকে ১২টি ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ এবং বালিশচাপায় মৃত্যু নিশ্চিতের পর আমরা (স্বামী-স্ত্রী) ভোররাতে ঘুমের ওষুধ ও কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করি।’
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক পুলক কান্তি সাহা জানান, ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের আগে এ দম্পতির কাউকেই আশঙ্কাকামুক্ত বলা যায় না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের চিকিৎসা চলছে, এখন তারা কিছুটা সুস্থ।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হতাশাগ্রস্থ বাবা-মা কর্তৃক সন্তানকে খুন করার অপরাধে ও বাবা-মার আত্মহত্যা চেষ্টার দায়ে নিয়মিত মামলা হবে এবং যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।