বৈরী আবহাওয়ায় তল্লাশিতে ব্যাঘাত
পশ্চিমবঙ্গের ভাঙড়ের এলাকার খালে তল্লাশি অভিযানের তৃতীয় দিনেও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের দেহাবশেষের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আজ সোমবার কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বৈরী আবহাওয়ায় তল্লাশিতে ব্যাঘাত দেখা দিয়েছে।
উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া একজন স্থানীয় জেলে জানান, এভাবে দেহাবশেষ উদ্ধার করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
এদিকে কলকাতায় তদন্তে আসা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেছেন, ‘আশা করছি এমপির দেহ না হলেও দেহাংশ উদ্ধার করতে পারব। তা না পারলে এই খুনের মামলার নিষ্পত্তি করা যাবে না।’ যদিও তিনি আশাবাদী, এমপি আনারের খুনের রহস্য দ্রুত উন্মোচন হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘মূল অভিযুক্তকে ধরতে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়া হবে। ঘটনায় মূল ধৃত আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা পশ্চিমবঙ্গে আটক জিহাদকে জেরা করে মিলিয়ে দেখা হবে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এমপি আনারের দেহাবশেষের খোঁজে গতকাল রবিবার ভাঙড়ের খালে তৃতীয় দিনের মতো তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ভাঙড়ের সাতুলিয়া এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ডিএমজি এবং এলাকার জেলেদের সাহায্য নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। দুপুরের পর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেন তদন্তকারীরা।
জেলেদের কয়েক জন বলছেন, এইভাবে দেহাংশ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। গত শুক্রবার থেকে টানা তিন দিন ধরে বাগজোলা খালে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে সিআইডি। আজ সোমবার ফের তল্লাশি হওয়া কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
আজ সোমবার কলকাতায় আটক জিহাদকে জেরা করবেন বাংলাদেশের তিন সদস্যের গোয়েন্দা দল। ২৬ ও ২৭ মে দুই দিনের সফরে জোর অনুসন্ধান চালাবে গোয়েন্দা টিম।
এদিকে, ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি, কাঁচি, চপারের খোঁজ এখনো পাননি সিআইডির গোয়েন্দারা। ফলে কীভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা নিয়ে তারা ধোঁয়াশার মধ্যেই রয়েছেন। তবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নিউ টাউনের অ্যাক্সিস মল থেকে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতকারীরা ১০ বোতল ফ্লোর ক্লিনার এবং ১৫ বোতল অ্যাসিড কিনেছিল।
তদন্তকারীদের ধারণা, এগুলো হয়তো ঘটনাস্থল থেকে রক্ত ধুয়ে, মুছে ডিএনএ-সংক্রান্ত প্রমাণ নষ্ট করতে ব্যবহার হয়েছে।