সাতক্ষীরা উপকূলে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা
২৬ মে ২০২৪, ১৮:২৩
শেয়ার :
সাতক্ষীরা উপকূলে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমাল বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ইতোমধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলীয় এবং সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজ রবিবার ভোর থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন চুনা, খোলপেটুয়া, মাংলঞ্চ ও যমুনা নদী, কপোতাক্ষ নদে স্বাভাবিক জোয়ার তুলনায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামগরের বুড়িগোয়ালীনি, গাবুরা, পদ্মপুকুর, আটুলিয়া, কৈখালী, রমজাননগর, মুন্সিগঞ্জ উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ো বাতাস বইছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার ডুমুরিয়া এলাকার মিজানুর রহমান বলেন, মাঝে মাঝে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ইতোমধ্যে নদীর পানি কানায় উঠে গেছে। এখন জোয়ার শুরু হয়েছে চলবে ৩টা পর্যন্ত। চাদনিমুখা এলাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছিল, স্থানীরা সেটা ঠেকিয়েছে।

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আমার ইউনিয়নের দুই পাশের নদী খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। যেসব এলাকায় বেড়িবাঁধের সমস্যা সেখানে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো- ১) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ার ভাটার তুলনায় পানি ৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢেউ বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান-অশনির পর জেলার অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। আপাতত নদী ভাঙ্গনের কোন সমস্যা নেই। তবে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি যেন ছাপিয়ে বাঁধের ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য একাধিক টিম কাজ করছে। ৫কিলোমিটার বাঁধ ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। যেসব জায়গাতে বেড়িবাঁধের অবস্থা নাজুক সেখানেও সংস্কারের কাজ চলছে। আর এছাড়াও আমরা পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ মজুদ করে রেখেছি।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও দেবহাটা এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। এছাড়া পুলিশ, নৌবাহিনী, বিজিবি, গ্রাম পুলিশ মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দে নেওয়ার কাজ করছে।