অবস্থান জানাল আবহাওয়া অফিস /

উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

অনলাইন ডেস্ক
২৬ মে ২০২৪, ০৯:০১
শেয়ার :
উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এটি সর্বশেষ গতকাল শনিবার মধ্যরাতে পায়রা বন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ রবিবার সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের উপকূলের দিকেই এগিয়ে আসছে। এর প্রভাবে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি গতকাল মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে এগিয়ে ঘনীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ঘোষণা দেওয়ার পরই পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর করা ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের দেশের সব বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।‌

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে কক্সবাজার রুটের সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ফ্লাইটগুলো।