ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে বর্ষবরণ ১৪৩১ উদযাপন
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, ব্যাংককে বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩১ পালন করা হয়েছে। আজ সকালে দূতাবাসে পিঠা উৎসবের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের ঐহিত্যবাহী বাংলাদেশি পিঠা-পুলি ও মিষ্টান্ন পরিবেশন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী এ সকল খাদ্যের মধ্যে ছিল নাড়ু-মোয়া, জিলাপি, পাটি শাপ্টা, পিয়াজু, বেগুনী, লাড্ডু, চটপটি, পাকন পিঠা, পুলি পিঠা, আলুর চপ, রসগোল্লা, তেলের পিঠা ইত্যাদি। আমন্ত্রিত অতিথিরা এ সকল পিঠা, মিষ্টান্ন ও অন্যান্য মুখরোচক খাদ্য দ্রব্যের স্বাদ গ্রহণ করেন।
বৈশাখী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে ছিল একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাসনাত আহমেদ। ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের বাংলা গান, নাচ ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিগণ ও শিশু কিশোররা বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর ফ্যাশন শো প্রদর্শন করেন। উপস্থিত সুধীমন্ডলী আনন্দ ও মুগ্ধতার সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষে রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি বর্ষবরণের মতো বাঙালি সংস্কৃতির বিভিন্ন আয়োজনে নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার জন্য উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে উদাত্ত আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪৯ কোটি ডলার
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলে দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে বিভিন্ন প্রকারের ভর্তাসহ বাঙালি রসনায় অতিথিবৃন্দকে আপ্যায়িত করা হয়।
দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত এ বর্ষবরণ উৎসবে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
বিয়ের অনুষ্ঠানে স্ত্রী, মা ও বোনকে গুলি
