রাতেই দেখানো হতে পারে মহাবিপদ সংকেত: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আজ শনিবার রাত থেকেই মহাবিপদ সংকেত দেখানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
আজ শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস, ভারতের আবহাওয়া অফিস, চীনের আবহাওয়া অফিস, জাপানের আবহাওয়া অফিস এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পরিষ্কার বুঝতে পারছি ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। আমরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
মহিববুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত থাকলেও আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে সংকেত ৩-এ চলে যাবে। সন্ধ্যা নাগাদ বা রাতে ৪-এর ওপরে এবং রাতের বেলা বিপদের পর্যায়ে চলে যেতে পারে।’
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে মনে হয়ছে ঘূর্ণিঝড় আসন্ন, সেটা মাথায় রেখে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রবিবার ভোর থেকে এটা প্রাথমিক আঘাত হানতে পারে। এরপর সন্ধ্যা নাগাত মূলটা আঘাত হানবে। পূর্বাভাসে আমরা এরকমই বুঝতে পারছি এবং আজকে রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে এটা ডেঞ্জার পয়েন্টে চলে যেতে পারে।’
এদিকে, পটুয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণ, মৎস্যজীবী ও নৌযান সমূহকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে নিজামপুর কোস্টগার্ড। আজ সকাল ৯টায় মৎস্য বন্দর আলীপুরে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এসময় তারা খাপড়াভাঙা নদীতে অবস্থানরত ট্রলারসমূহে থাকা জেলেদের ঘূর্ণঝড়ের সময় করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেন।