কাল আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

অনলাইন ডেস্ক
২৫ মে ২০২৪, ০৮:৩৭
শেয়ার :
কাল আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিনত হয়েছে। যা শক্তি সঞ্চয় করে আজ শনিবার ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এ রূপ পরিগ্রহ করতে পারে। অত:পর ক্রমাগত শক্তি বাড়িয়ে আগামীকাল রবিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে প্রবল গতিতে আছড়ে পড়তে পারে। 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এর অভিমুখ এখন বাংলাদেশের দিকে। গতকাল বাংলাদেশ আবহাওয়া দপ্তর দেশের চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি করেছে। 

আবহাওয়াবিদগণ মডেল বিশ্লেষণ করে বলছেন, আঘাত হানার সময় সাত-আট ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলভাগ প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমুহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালায় সারা দেশের আকাশ ছেয়ে যেতে পারে। 

উপকূলে আঘাত হানার সময় এটির কেন্দ্রের গতিবেগ উঠতে পারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত। গতকাল রাত ১০টায় নিম্নচাপ কেন্দ্রে ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সাগর।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান গতকাল সন্ধ্যায় জানান, আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যায় এ ঘূর্ণিঝড় রেমল বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আর এ সময় উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ খুলনা থেকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মাঝামাঝি স্থানে আঘাত হানতে পারে। অপেক্ষাকৃত বেশি এলাকা ধরে ঘূর্ণিঝড়টির বিস্তৃতি থাকতে পারে। সমুদ্র উপকূলের সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ শনিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এটিই যতই অগ্রসর হবে ততই ভারী বর্ষণ দেখা দেবে।’

ভারতের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ ড. ডিএ পত্তানায়েক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানবে। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মাঝ দিয়ে উপকূলে ওঠে আসবে। উপকূলে আঘাত হানার সময় এটির কেন্দ্রের গতিবেগ ওঠে যাবে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলগুলো বিশ্লেষন করে জানান, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিন চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আগামীকাল রবিবার সকাল ৬টার পর থেকে সোমবার ২৭ মে দুপুর ১২টার মধ্যে এই সম্ভাবনা প্রবল।