মাছ মুরগি সবজি সবই চড়া

অনলাইন ডেস্ক
২৪ মে ২০২৪, ১৪:৪২
শেয়ার :
মাছ মুরগি সবজি সবই চড়া

বাজারে ব্রয়লার মুরগি থেকে শুরু করে সব ধরনের মাংস, মাছ, ডিম আগের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। লাগামহীন নিত্যপণ্যের এই বাজারে দিশেহারা সব শ্রেণির মানুষ।  

আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির দামই চড়া। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। এছাড়া পটল পাওয়া যাচ্ছে ৫০ করে কেজি। সেই সাথে লাউ প্রতি পিছ ৫০ টাকা, কাকরল ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, লেবু হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ টাকা কেজি। পেঁপে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে কাঁচা মরিচের দাম। এ পণ্যটি কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। কোথাও কোথাও দাম ২২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

তালতলা বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা জুবায়ের বলেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে কাঁচামরিচের বাজার অস্থির। ৮০ থেকে ১০০ টাকার মরিচ এখন মানভেদে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা হয়েছে। চাহিদার তুলনার উৎপাদন কম থাকায় এমনটি হয়েছে। তবে দামের কারণে আমাদের বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে। 

বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।

গরুর মাংস আগের বাড়তি দামেই প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

বাজারে সব ধরনের মাছের দামই‌ বেশি। আজ রুই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বড় রুই ৪০০ টাকায়, পাঙাশ ২৩০ টাকা, চিংড়ি আকার ভেদে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, পাবদা ৪০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, চাষের কই ২৮০ টাকায়, কাতল ৩৫০ টাকায়, গলসা প্রতি কেজি ৫৫০ টাকায়, টেংরা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, বড় শিং ৫৫০ টাকায়, ছোট শিং ৪০০ টাকায়, বড় বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও বড় আইড় মাছ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে চা বিক্রি করেন বাদশা মিয়া। ছোট একটা চায়ের স্টল চালিয়ে ভালোই দিন কাটছিল তার। সন্তানদের পড়াশোনা, সংসারের খরচ চলত চায়ের স্টলের আয় দিয়ে। সব খরচ মিটিয়ে প্রতি মাসে সঞ্চয় ছিল ৮-১০ হাজার টাকা। কিন্তু বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ায় এখন আর আয় হয় না। উল্টো মাসের শেষের দিকে ঋণ করতে হয়। দৈনিক কর্মঘণ্টা বাড়িয়ে যা আয় হয় তা দিয়েও যেন সংসারের ব্যয় সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। 

রাজধানীর মগবাজারে সপ্তাহের ছুটির দিন কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রকিব উদ্দিন বলেন, ‘আজ বেশ কিছুদিন ধরে ব্রয়লার থেকে শুরু করে সব ধরনের মুরগির দাম অতিরিক্ত বেশি। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া গরু-খাসির মাংস তো স্পর্শ করতে পারি না। মাংসের চাহিদা সাধারণ মানুষ মেটায় ব্রয়লার মুরগি দিয়ে। তাও এখন কেনার মত অবস্থায় নেই।’