ভারতীয় গোয়েন্দাদের বাংলাদেশে এসে তদন্ত করার বিষয়ে কথাবার্তা চলছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ভারতীয় গোয়েন্দা গোয়েন্দাদের বাংলাদেশে আসার বিষয়ে কথাবার্তা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত করতে ভারতীয় টিম বাংলাদেশে এখনো আসেনি, তবে কথাবার্তা চলছে। আমি তো আগেই বলেছি, ঘটনাটা ঘটেছে ভারতে। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে সমস্ত তথ্য আছে, এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে বাংলাদেশের মানুষ রয়েছে। তবে, এই হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত কি না, এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। দুই দেশের গোয়েন্দা, দুই দেশের পুলিশ সবাই মিলে যখন একমত হবে, তখনই আমরা আপনাদের জানাতে পারব। ভারতের কেউ জড়িত থাকলে ভারতের গোয়েন্দারা আমাদের জানাবে। বিষয়টি নিয়ে তারা গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।’
এমপি আনার স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে শোনা যাচ্ছে- এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমি তো বলেছি... আমাদের কাছে যখন সুনির্দিষ্ট তথ্য আসবে, তখনই আপনাদের সব কিছু বলতে পারব। আপনারা যেমন শুনেছেন; আমরাও তেমন শুনছি। এ সমস্ত কথা বলার জন্য আগে আমাদের তথ্য পেতে হবে। আমাদের কাছে এখনও সম্পূর্ণ কোনো তথ্য আসেনি। সম্পূর্ণ তথ্য না আসলে এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না। তদন্তের আগে এ সমস্ত বিষয়ে আমরা আলোকপাত করতে চাই না। যেটুকু তথ্যে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হবে না, সেটুকুই আপনাদের বলেছি।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তদন্তের প্রয়োজনে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা ভারতে যাবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে যাবে। গোয়েন্দাদের কাজই তো এটা। তথ্যের জন্য গোয়েন্দারা যে কোনো জায়গায় যেতে পারে। ভারতের গোয়েন্দারাও আসতে পারে। হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে ভারতে। ভারতীয় গোয়েন্দারা তাদের কাজ করবেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে একটা মামলা করেছে তার মেয়ে। সেই মামলার আলোকে আমরাও কাজ করব। মামলা অনুযায়ী আমাদের পুলিশ এবং ভারতীয় পুলিশ একত্রিত হয়ে কাজ করবে। সত্যিকারের ঘটনা ও মোটিভ উদ্ধার করতে কাজ করবে। অনেক কিছুই আমরা শুনছি। যখন কনফার্ম হব, তখনই জানাব।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?