সপরিবারে সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকার স্তম্ভিত: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ মে ২০২৪, ১৪:০২
শেয়ার :
সপরিবারে সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকার স্তম্ভিত: রিজভী

সপরিবারে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ স্তম্ভিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  

আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘‘প্রাইম মিনিস্টার ম্যান’ খ্যাত বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দেওয়া স্যাংশনে সরকারের লোকেরা বিমূঢ় ও স্তম্ভিত হয়ে গেছে। যে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘‘বিজিবির সবই লিথ্যাল (প্রাণঘাতি) অস্ত্র। কেউ আক্রমণ করলে জীবন বাঁচাতে গুলি করতে পারে।’’ পক্ষান্তরে তিনি আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই কথা বলেছিলেন পুলিশের বেনজীর আহমেদ।’

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সকল সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশে কোন আধা সামরিক সংগঠনের প্রধান এ ধরনের বক্তব্য রেখেছেন তা আমাদের জানা নেই। যেকোনো দাবির প্রশ্নে জনগণের উত্তাল আন্দোলনে অংশগ্রহণরত শ্রেণিপেশার মানুষরা সবসময় ‘ইমিউনিটি অব নন—কমব্যাটেন্ট’। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ধৈর্যের সঙ্গে সেটি মোকাবিলা করেন, কারণ আন্দোলনকারীরা সবাই নিরস্ত্র।’

রিজভী বলেন, ‘সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ছাত্র আন্দোলন তার একটি উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। সেখানে অনেককে গ্রেপ্তার করা হলেও কাউকে গুলি করা হয়নি। ক্ষমতাশালী লোকের পক্ষে যে ব্যক্তি অপকর্ম করে সেই ব্যক্তির ভয়াবহ অপকর্মকে ঢাকতে পারে না রাষ্ট্রের প্রধান ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। জেনারেল আজিজের অপকর্মের দায় শেখ হাসিনাসহ ডামি আওয়ামী সরকারের। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীররা আওয়ামী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় গেস্টাপো বাহিনীর ন্যায় ভূমিকা রেখেছে।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে আবারও ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক হামলা, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ফরমায়েশী রায়ে সাজা ও গ্রেপ্তারের বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। বাংলাদেশ যেন এখন কারবালার প্রান্তর। ’

দেশে অর্থনৈতিক নৈরাজ্য চলছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘ব্যাংকগুলো টাকার জন্য হাহাকার করছে। ব্যাংক ঋণ বিতরণ করছে আমানতকারীদের অর্থ থেকে, আবার ওই ঋণের অর্থ ক্ষমতাঘনিষ্ঠ লুটেরারা ফেরত দিচ্ছে না। ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, আবার চরম ডলার সংকটে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারছে না। অন্যদিকে, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২৬১টি স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেইকেল অর্থাৎ এক ধরনের স্টেশন ওয়াগন ক্রয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী মত দিয়েছেন। যার প্রতিটির মূল্য ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।’