ইউসেপ বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
২২ মে ২০২৪, ২১:২১
শেয়ার :
ইউসেপ বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করল ইউসেপ বাংলাদেশ। আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলুতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হল প্রাঙ্গণে এই সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্পীকার ড.শিরিন শারমিন চৌধুরী। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহবুবুল আলম, প্রেসিডেন্ট এফবিসিসিআই এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন ড. মো. আলাউদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন ইউসেপ সদস্যরা এবং নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আবদুল করিম।

অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধস্থ বাংলাদেশের জনগণকে কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করার ক্ষেত্রে ১৯৭২ সাল থেকে যে সকল প্রতিষ্ঠান অবদান রেখেছে, তার মধ্যে ইউসেপ বাংলাদেশ একটি অনন্য উদাহরণ। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র শিশুদের কারিগরি শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে জাতির পিতার পৃষ্ঠপোষকতায় ইউসেপ নামক কর্মজীবি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করায় প্রধান অতিথি প্রয়াত লিন্ডসে অ্যালান চেইনকে ধন্যবাদ জানাই। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে টিকে থাকতে মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিহার্য।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই মন্তব্য করেন সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য কাজ করছে বলে জানান স্পীকার। ইউসেপের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচী সম্প্রসারনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি ইউসেপের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।

বিশেষ অতিথি শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে টিকে থাকতে মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য কাজ করছে। তাই চতুর্থ শ্ল্পি বিপ্লবের সুফল গ্রহনের লক্ষ্যে ইউসেপ পরিচালিত কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রচলিত কোর্সের পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, উদ্যেক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং আইসিটিভিত্তিক কোর্স চালু করার উদ্যোগ নেওয়ায় ইউসেপ বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’

ইউসেপ চেযারম্যান ড. আলাউদ্দীন বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সরকার ও দাতা সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।

ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আবদুল করিম দেশব্যাপী ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ৩৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী দেশের দারিদ্র দূরীকরণ ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ভূমিকা রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।