রাজধানীর কদমতলী মৌজার ৬৭ শতাংশ খাস জমি উদ্ধার
রাজধানীর কদমতলী মৌজার অবৈধভাবে দখল করা শ্যামপুর খাল ও সংলগ্ন ৬৭ শতাংশ খাস জমি উদ্ধার করেছে করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের সার্বিক নির্দেশনা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শিবলী সাদিকের তত্বাবধানে এই জমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কদমতলী থানার মোহাম্মদবাগ চৌরাস্তা হয়ে শ্যামপুর রোডের পাশে অবস্থিত শ্যামপুর খাল। খালের এক মাথা বুড়িগঙ্গা ও অন্য মাথা শীতলক্ষ্যায় গিয়ে মিশেছে। স্থানীয় ভূমি দস্যু ও দখলদারের আগ্রাসনে ধীরে ধীরে খালটি বিলুপ্তির দিকে এগুচ্ছে। খালটির প্রায় ২০ শতাংশ খাস জমি অবৈধ দখলে রয়েছে। তারমধ্যে ০.০৭১৪ একর ভূমিতে সেমিপাকা কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ০.০৭২৩ একর ভূমি পতিত অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া প্রায়. ০৩৬৭ একর জমিতে দুটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে স্থানীয় বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আজ মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান অভিযান চালিয়ে কদমতলী মৌজাস্থ আর এস ও মহানগর জরিপের ১ নম্বর খতিয়ানে আর এস ৩২৮৩ ও সিটি ২৩০১ নম্বর দাগের ০.০৬৭২ একর খাস জমি উদ্ধার করেন। একইসঙ্গে খাস জমির সীমানা চিহ্নিত করে লাল নিশান ও মালিকানা সাইনবোর্ড টানিয়ে সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসন, ঢাকার দখল ও নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এই অভিযান পরিচালনার সময় মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের সার্ভেয়ার ও সংশ্লিষ্ট ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, কদমতলী থানার কর্মকর্তা ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান জানান, ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে মূল্যবান অনেক খাস জমি ভূমি দস্যু ও দখলদাররা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে আছে। যেগুলো উদ্ধার ও সংরক্ষণে জেলা প্রশাসন সর্বদা তৎপর। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।