মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মেয়েকে ফিরে পেতে আদালতে বাবা

আদালত প্রতিবেদক
২১ মে ২০২৪, ১৫:৪৭
শেয়ার :
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মেয়েকে ফিরে পেতে আদালতে বাবা

মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার থেকে নিজের মেয়ে তাইবাকে (৮) হেফাজতে নিতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বাবা তোফাজ্জল হোসেন (৪০)। ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার দক্ষিণ লামকাইন গ্রামের ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন ঢাকার কদমতলীতে থাকেন।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার এবং সাধারণ সম্পাদক মিতু হালদারকে বিবাদী করে গত ২৪ মার্চ এ মামলা করা হয়। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী হাসান আল জাবির তালুকদার সনি বলেন, ‘মামলার পর আদালত বাদী বাবার এবং সন্তান তাইবার ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছিল এবং বিবাদীদের শিশু তাইবাকে নিয়ে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির হতে নির্দেশ ছিল। কিন্তু মিল্টন সমাদ্দার জেলে থাকায় বর্তমানে শামসুল হক ফাউন্ডেশন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের দায়িত্বে থাকায় ডিএনএ পরীক্ষা হয়নি। আর এ কারণে শিশু তাইবাকেও আদালতে হাজির করা হয়নি। আমরা শামসুল হক ফাউন্ডেশনকে আদেশ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।’

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০১২ সালের ১৬ নভেম্বর মোসা. সুরমা আক্তারকে বিয়ে করেন। ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তাইবার জন্ম হয়। স্ত্রী অসুস্থ অবস্থায় ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর তাইবা হারিয়ে যায়। খোঁজাখুজি করে না পেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেন। এরপর ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তার স্ত্রী মারা যান। পরে বাদী এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন চাইল্ড অ্যান্ড এইজ কেয়ার প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজের একটি পোস্টের বাদীর মেয়েকে দেখেছেন।

এরপর তোফাজ্জল হোসেন ২০২৩ সালের ৪ মে মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে নিজের মেয়েকে চিহ্নিত করেন। পরে ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তোফাজ্জলকে জানানো হয়, তারা শিশুটিকে দেবেন না। পরে ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিবাদীদের তিন দিনের মধ্যে শিশুটিকে ফেরত চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেন তোফাজ্জল। তবে এখনো শিশুটিকে ফেরত দেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাগুলোয় তিনি কারাগারে রয়েছেন।