‘ইরানের ইসলামি বিপ্লবের সন্তান’
ইব্রাহিম রাইসি ৬১ বছর বয়সে ২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। মাত্র তিন বছরেরও কম সময়ের শাসনামলে ইরান পশ্চিমা সহায়তা ছাড়াই সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করেছে, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়েছে, বেইজিং-মস্কোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করে ডি-ডলারাইজেশন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া তার শাসনামলেই ইরান ব্রিকসে যোগ দিয়েছে।
ইরানের প্রয়াত এই প্রেসিডেন্ট ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশটির মাশহাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তরুণ বয়সে ইব্রাহিম রাইসি ১৯৭৮-৭৯ সালে ইরানে সংঘটিত ইসলামি বিপ্লবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সেই বিবেচনায় ইব্রাহিম রাইসি ইসলামি বিপ্লবেরই সন্তান।
আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু
রাইসি কওমের একটি ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ও শহীদ মোতাহারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি আইনে পড়াশোনা শেষ করেন। পরে তিনি ইরানে বিচার বিভাগে যোগ দেন। রাইসি ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তেহরানের ডেপুটি প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি তেহরানের প্রসিকিউটর পদেও নিযুক্ত হন। ১৯৯৪ সালে ইরানের বিচার বিভাগের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান জেনারেল ইন্সপেকশন অর্গানাইজেশন অব ইরানের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
আরও পড়ুন:
ন্যাটোর বিরুদ্ধে নয়া ছক পুতিনের
২০০৪ সালে তাকে ইরানের ডেপুটি চিফ জাস্টিস বা উপপ্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইব্রাহিম রাইসি ইরানের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ আদালতে প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হন। তার শাসনামলে চীন, রাশিয়া, সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করে তেহরান।
আরও পড়ুন:
৬০০ দিন পর কারামুক্ত কাশ্মীরের সাংবাদিক