ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর আলোচনায় তুরস্কের ড্রোন
ইরানে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেটি খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারটি সম্পর্কে কোনো তথ্যই জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর খোঁজ মেলে ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের। এরপরই জানা যায়, হেলিকপ্টারে থাকা সব আরোহী মারা গেছেন।
বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেশটির প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের সন্ধান পায় তুরস্ক থেকে পাঠানো ড্রোন। এই ড্রোনটির নাম বায়রাকতার আকিঞ্জি। এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য আলোচনায় আসে এই সিরিজেরই আরেকটি মডেল বায়রাকতার টিবিটু।
আজ সোমবার ভোরে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার এলাকায় একটি ‘হিট সোর্স’ (উত্তপ্ত স্থান) শনাক্ত করে আকিঞ্জি। পরে সেখানেই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।
আনাদোলু এজেন্সি জানায়, বহু মানুষ ফ্লাইট রাডার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ড্রোনটির গতিপথে চোখ রাখছিলেন। তারা একটি কৌতূহলোদ্দীপক দৃশ্য দেখে থাকবেন।
ইরান থেকে তুরস্কের ঘাঁটিতে ফেরার পথে ফ্লাইট ম্যাপে নিজের গতিপথ ব্যবহার করে চাঁদ ও তারা আঁকে ওই বায়রাকতারটি। তুরস্কের জাতীয় পতাকায় চাঁদা-তারা প্রতীক রয়েছে। আনাদোলু ফ্লাইট ম্যাপের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আজ সকালে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। হেলিকপ্টারে আরও ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রাহমাতি ও ওই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম।
পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল রবিবার আজারবাইজানে একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন তারা। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। এ ঘটনায় হেলিকপ্টারে থাকা ৯ আরোহীর সবাই মারা যান।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!