ইরানে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি সম্পর্কে যা জানা গেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০ মে ২০২৪, ১৮:৩৭
শেয়ার :
ইরানে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি সম্পর্কে যা জানা গেল

ইরানে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলের ছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হেলিকপ্টারটি নিয়ে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন তৈরি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আজ সোমবার সকালে মারা যান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে ‘কোনও জীবিত ব্যক্তি’ পাওয়া যায়নি। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পুড়ে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ানও ছিলেন। ঘন কুয়াশার মধ্যে হেলিকপ্টারটি পার্বত্যাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কপ্টারটি বয়স সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, এই মডেলটি কানাডার সামরিক বাহিনীর জন্য ১৯৬০ সালে তৈরি করা হয়েছিল। ইরানের ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্যদের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু হয়। পরবর্তী কয়েক দশক ধরে নিষেধাজ্ঞাগুলো চলমান।

মার্কিন কোম্পানি বেল হেলিকপ্টার ওই উড়োযানগুলো নির্মাণ করে। বিশ্বজুড়ে অনেক সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সেগুলো ব্যবহার করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং থাইল্যান্ড পুলিশের মতো বাহিনীগুলোতেও এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।

ফ্লাইটগ্লোবালের ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড এয়ার ফোর্সেস ডিরেক্টরি অনুযায়ী, ইরানের নৌ ও বিমান বাহিনীর কাছে মোট ১০টি বেল হেলিকপ্টার রয়েছে।

বিবিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যেকোনো উদ্দেশ্যেই এই এয়ারক্র্যাফটগুলোকে ব্যবহার করা যায়। মানুষ বা পণ্য পরিবহন তো বটেই অস্ত্র সজ্জিত করে যুদ্ধের জন্যও এগুলো উপযোগী।

ফ্লাইট সেফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি অলাভজনক সংস্থার মতে, এর আগেও বেল টু ওয়ান টু মডেলের হেলিকপ্টার বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই হেলিকপ্টার। এরও আগে, ২০১৮ সালে ইরানেই একই ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত চারজন।