২৫০০ অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর মিরপুরে গতকাল রবিবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন অটোরিকশাচালকরা। বিক্ষোভকারীরা কালশী মোড়ে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেন। ভাঙচুর করেন অন্তত ১০টি যানবাহন। এসব অভিযোগে আন্দোলনরত অটোরিকশাচালকদের বিরুদ্ধে তিন থানায় চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় ২ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ বাদী হয়ে পল্লবী থানায় দুটি, কামরুল থানায় একটি ও মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা।
তিনি বলেন, ‘গতকাল রবিবার রাতে মিরপুরের পল্লবী থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। একটি মামলা পল্লবী থানা পুলিশ ও আরেকটি পল্লবী ট্রাফিক জোন থেকে দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে কাফরুল থানা ও মিরপুর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে। রবিবার আন্দোলন-অবরোধের নামে পুলিশের কাজে বাধা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা ও পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনায় এসব মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আসামি করা হয়েছে আড়াই হাজারের বেশি অটোরিকশাচালককে। এসব মামলায় চার থানায় পৃথক অভিযানে ৩৭ জন অটোরিকশাচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ডিসি জসীম বলেন, ‘রবিবার দুপুরের পর থেকে রাজধানীর কালশী এলাকায় তাণ্ডব চালায় অটোরিকশাচালকরা। তারা রাস্তাসহ কালশী ফ্লাইওভার অবরোধ করে রাখে। এক পর্যায়ে বিকেলের দিকে কালশীর রাস্তা অবরোধ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা একাধিক বাসে ভাঙচুর করে। এছাড়া সর্বশেষ কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। যে বা যারা পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও নাশকতার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
পল্লবী থানায় দায়ের করা দুটি মামলার বাদী উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনিভাবে জনতা দাঙ্গা সৃষ্টি, সরকারি কর্তব্য ও কাজে বাধাদানসহ পুলিশের ওপর আক্রমণ ও অপরাধমূলক বল প্রয়োগে সাধারণ ও গুরুতর জখম, ভাঙচুর করে জানমালের ক্ষতিসাধন, বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরণ ঘটানো এবং বিস্ফোরক দ্রব্য হেফাজতে রাখা ও সহায়তা করার অপরাধে মামলা দায়ের করা হলো। মামলায় ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। মামলায় উল্লিখিত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও এক হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনকে।
অপরদিকে একই থানায় ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিমের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার বাদী সার্জেন্ট মিন্টু চন্দ্র দে। এ মামলার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আপূর্ব হাসান বলেন, ‘পল্লবী থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় ১৫ জন অটোরিকশাচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সির সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।’
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম বলেন, ‘কাফরুল থানায় দায়ের করা মামলায় ৬০০ থেকে ৭০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?