কত শতাংশ ভোট পড়লে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, এমন নিয়ম নেই
কত শতাংশ ভোট পড়লে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, এমন কোনো বিধি-নিষেধ বা নিয়ম নেই বলে জানালেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মো. আলমগীর বলেন, ‘জাতীয় কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো বিধি-নিষেধ বা নিয়ম নেই যে, কত শতাংশ ভোট পড়লে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। এগুলো নিয়ে ইসি ভাবে না। যে কোনো শতাংশ ভোট পড়লেই খুশি। ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়।’
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভোটাররা ভোট দিতে ইচ্ছুক। তারা কেন্দ্রে আসবেন। ধান কাটার মৌসুম, বৈরি আবহাওয়া, বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসছে না, এসব কারণে ভোটার উপস্থিতি কম।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
ইসির ওপর অনাস্থা থেকে ভোটার উপস্থিতি কম নয় দাবি করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা-অনাস্থার বিষয় নয়, পছন্দের প্রার্থী না পাওয়ায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভোটের উপস্থিতি কম। তবে কত শতাংশ ভোটার উপস্থিত হলে সন্তোষজনক হবে এ বিষয়ে দায়বদ্ধতা নেই।’
দ্বিতীয় ধাপের ভোট, ভোটার অংশগ্রহণ কম, চ্যালেঞ্জ মনে করেন কি না- জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপের ভোট যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে এ জন্য ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনেও তাই করেছি। আগামীকালের নির্বাচনও তেমন হবে। কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচন শান্তিপূর্ণ রাখা। নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই। সারাবিশ্বে ভোটারদের ভোটের প্রতি আগ্রহ কমছে। বিভিন্ন কারণে ভোটাররা অংশ নিতে চান না। ভালো প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ না নিলেও অনেক সময় ভোটাররা ভোট দিতে যান না।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বিএনপির ভোট বর্জনের আহ্বান নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ভোট বর্জনের জন্য লিফলেট বিতরণ করছে, এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তবে কোনো সহিংসতা করলে সেক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন। কমিশনের প্রতি আস্থা নাই এটা ঠিক নয়, কমিশন সবসময় শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। কারও প্রতি কমিশনের আলাদা কোনো পক্ষপাতিত্ব নাই।’