রাইসির মৃত্যু, ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে যা জানা গেছে
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর থেকে বারবারই ইসরোয়েলের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কথা উঠছে। প্রশ্ন চলে আসছে ইসরায়েল কোনোভাবে এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না।
মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বৈরিতা দীর্ঘদিনের। সর্বশেষ এপ্রিলে পরস্পরের ভূখন্ডে হামলা চালায় দেশ দু'টি। হামলার আর সামনের দিকে না গড়ালেও উত্তেজনা পুরোপুরি হ্রাস পায়নি।
এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার সকালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে ‘কোনও জীবিত ব্যক্তি’ পাওয়া যায়নি। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পুড়ে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ানও ছিলেন। ঘন কুয়াশার মধ্যে হেলিকপ্টারটি পার্বত্যাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সিনেটর। সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার জানান, মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাথে তার কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
তিনি বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত কোনো সন্দেহ করার মত কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
শুমার বলেন, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যে স্থানে কপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানকার আবহাওয়া অত্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন ও খারাপ ছিল। তাই এটিকে একটি দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তবে, বিষয়টি এখনো পুরোপুরি তদন্তাধীন।"
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
তবে, রয়টার্সের কাছে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা দাবি করেছেন, "রাইসির মৃত্যুর সঙ্গে ইসরায়েল জড়িত নয়।"
ইরানের পক্ষ থেকেও এখনো ইসরায়েল জড়িত থাকার কোনো দাবি করা হয়নি। দেশটির কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে বৈরি আবহাওয়াকেই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করছেন।