মাকে খুঁজতে বের হয়ে চারদিন নিখোঁজ কিশোর
ঢাকায় মা’কে খুঁজতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চার দিন ধরে নিখোঁজ কিশোর সোহান (১৪)। গত শুক্রবার দুপুর ২টায় বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে তার নানীবাড়ি থেকে ওই কিশোর মাকে খোঁজার উদ্দেশে বের হয়। এরপর চারদিনে তার আর খোঁজ না মেলায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
আজ সোমবার দুপুরে সোহানের নানী বুলবুলি বেগম থানায় গিয়ে নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়ে জিডি করেন।
সোহানের মা সুবর্ণা ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সোহানের বাবা রাসেল দুবাই প্রবাসী। বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে নানীর বাড়িতে থাকত কিশোর সোহান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোট বেলা থেকেই উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের সান্দিড়া গ্রামের ব্যাপারীপাড়ায় নানীর বাড়িতে থাকে সোহান। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। তার দাদার বাড়িও একই গ্রামে।
দুই বছর আগে বাবা রাসেল কর্মের জন্য বিদেশ যান। এরপর থেকে মা সুবর্ণ তার ছোট ভাইকে নিয়ে দাদার বাড়িতে থাকতো। মাস খানেক আগে তিনিও কর্মের জন্য সোহানের কাছে তার ছোট ভাইকে রেখে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেন। এরপর থেকে সোহান ও তার ছোটভাই নানা-নানীর কাছে ছিল। কয়েক দিন ধরে মায়ের কথা মনে পড়ছিল সোহানের। বিষয়টি তার নানীকে একাধীকবার বলেছিল। হঠাৎ শুক্রবার দুপুর ২টায় জিন্সপ্যান্ট ও সাদা শার্ট পড়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল সোহান। উঠানে কাজ করার সময় বিষয়টি লক্ষ্য করছিল তার নানী।
নানী বুলবুলি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম তার বন্ধু বান্ধবের সাথে আশেপাশেই কোথাও যাবে। সন্ধ্যা নামলেও সে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি। তার মাকে বিষয়টি জানালে সেও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেয়। কোথাও না পেয়ে থানায় জিডি করেছি।’
ছেলেটির বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জানান- দেখতে শ্যাম বর্ণের, মুখমন্ডল গোলাকার, লম্বায় ৪ ফিট। ছেলেটির দেখা পেলে ০১৭৫৪-১৫৬৩৬৩ (নানা আব্দুস সাত্তার) এই নাম্বারে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, নিখোঁজের ঘটনায় জিডি করার পর সোহানের সন্ধানে কাজ করা হচ্ছে।
