স্ত্রী যৌতুকের মামলা করায় যুবকের আত্মহত্যা
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্ত্রী মামলা করে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন মো. রেদওয়ান হোসেন (২৫) নামের এক যুবক। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রেদওয়ানের নিজ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। রেদওয়ান হোসেন ওই গ্রামের মৃত আহসান উল্যার ছেলে। তিনি এক সন্তানের জনক।
নিহত রেদওয়ানের পরিবারের বরাতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ইব্রাহিম মৃধা জানান, গত কয়েক বছর আগে পাশের গ্রামের মফিজ মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রেদওয়ান হোসেনের। বিয়ের সময় খাদিজা আক্তার অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার কারণে বিয়েতে নিকাহনামা নিবন্ধন হয়নি। তবে তারা দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। রেদওয়ান ও খাদিজা দম্পতির ঘরে রাহাতুল ইসলাম নামে ১ বছর ৮ মাস বয়সি এক সন্তান রয়েছে। রেদওয়ানের ৬ বোনের মধ্যে সবার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তারা স্বামীর বাড়িতে থাকেন। তার বাবা-মা মারা যাওয়ার পর রেদওয়ান স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন। সম্প্রতি সময়ে তাদের পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়।
রেওয়ানের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবি, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ একাধিক অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। মামলা চলমান থাকায় তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে শিশু সন্তানকে নিয়ে অবস্থান করছেন।
রেদওয়ানের বোন রহিমা বেগম বলেন, ‘আমার ভাই বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘরে ঘুমান। সকাল ৯টায় জানতে পারি, তিনি ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ খবর পেয়ে আমি এসে প্রতিবেশিদের সহায়তা নিয়ে ভাইয়ের মরদেহ নামিয়ে বিছানায় রাখি। পরে পুলিশ এসে মরদেহ নিয়ে যায়। মুলত, ভাইয়ের নামে তার স্ত্রী মামলা করায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন’।
ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রেদওয়ান হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।