চিংড়ি ঘেরে পড়ে ছিল দুই যুবকের মরদেহ
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে একটি চিংড়ি ঘের থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ঘেরের দুই শ্রমিককে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে খুরুশকুল ইউনিযনের মনুপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশের একটি চিংড়ি ঘের থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। চিংড়ি ঘেরটি খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য শামসুল আলমের।
নিহতরা হলেন- খুরুশকুলের মনু পাড়া গ্রামের জামালের ছেলে আবদুল খালেক (২৫) এবং আবু তাহেরের ছেলে মো. ইয়াছিন। তারা দুজনেই মৎস্যজীবী বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
একই ইউপির স্থানীয় সদস্য নাছির উদ্দিন বলেন, নিহতদের বিরুদ্ধে নানা সময় চুরির অভিযোগ শোনা যেত। এলাকাবাসী ধারণা করছে গত রাতেও তারা মাছ চুরি করতে আসলে ঘেরে লাগানো বৈদ্যুতিক শকে তারা মারা যান।
খুরুশকুল ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী বলেন, ‘গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহের শরীরে একাধিক বৈদ্যুতিক শকের চিহ্ন রয়েছে।’
নিহত ইয়াছিন আরাফাতের মা জানান, তার ছেলে গতকাল রাত ১০ টার সময় বাড়ি থেকে বের হয়। আজ সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তবে কে বা কারা তাদের হত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাদের গায়ে মারধরের এবং বৈদ্যুতিক শর্টের আঘাত রয়েছে। কে বা কারা তাদের মেরে ফেলে রেখেছে সেই বিষয়ে এখনো কেউ কিছু বলছে না। তবে মরদেহ উদ্ধারের পর পরই স্থানীয়রা ঘের মালিক শামসুল মেম্বারের বসতবাড়ি ঘেরাও করে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘেরের দুই শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেন পুলিশ।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মছিউর রহমান বলেন, সুরতাহাল প্রতিবেদেনে মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে আঘাতগুলো বৈদ্যুতিক শকের। তবে মযনাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, হত্যার কারণ জানতে ঘেরের দুই শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিম্মায় নেওয়া হয়েছে।