ই-জিপির সাফল্য সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে: বিপিপিএ পরিচালক

অনলাইন ডেস্ক
১৬ মে ২০২৪, ২০:১১
শেয়ার :
ই-জিপির সাফল্য সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে: বিপিপিএ পরিচালক

রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনার আওতায় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে জনগণের অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সর্বাধিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে সরকারি ক্রয় পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) -এর পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মির্জা আশফাকুর রহমান।

 আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) নেত্রকোণা জেলায় বিপিপিএ’র কার্যাবলী এবং ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসাবে একথা বলেন।

নেত্রকোণার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। বিপিপিএ’র ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট (ডাইম্যাপ) -এর অধীনে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) কর্মশালা আয়োজনে সহায়তা করে।

কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার প্রতিনিধি, দরপত্রদাতা এবং সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন। বিসিসিপির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ও ডেপুটি সিইও ডা. জিনাত সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড্ করার কারণে -এর ব্যপক ব্যবহার বেড়েছে উল্লেখ করে মির্জা আশফাকুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে সরকারি ক্রয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ ই-জিপির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। ই-জিপি চালুর ফলে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময়ে ৮৭.৭ দিন থেকে ৫৭ দিনে নেমে এসেছে। ১০০ শতাংশ দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ও চুক্তি সম্পাদন নোটিশ ই-জিপি সিস্টেমে প্রকাশ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহারে প্রতিবছর দেশের ৬০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে আর ১০৫ কোটি ৩০ লাখ পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে এবং ১.৫৪ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ কমিয়েছে। সরকারি ক্রয়ে চুক্তি ব্যবস্থাপনাও এখন ই-জিপির মাধ্যমে হচ্ছে। বাংলাদেশে ই-জিপির অগ্রগতি সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১১টি দেশ এবং ৫টি আন্তর্জাতিক ও বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা ই-জিপি সিস্টেমের সফলতা সম্পর্কে জানতে বিপিপিএ পরিদর্শন করেছে। ই-জিপি সিস্টেম ৪টি আন্তর্জাতিক আইএসও সনদও পেয়েছে।