মোটরসাইকেলচালক হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
১৫ মে ২০২৪, ২১:৫৬
শেয়ার :
মোটরসাইকেলচালক হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মোটরসাইকেলচালক মঞ্জু শেখ হত্যা মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার রায় দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আরেকটি ধারায় ওই চার আসামিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৭ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার বিকেলে রাজবাড়ী দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শোনার পর আদালত প্রাঙ্গণে আসামিদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোহরাব মন্ডল পাড়ার সুলতান মৃধার ছেলে মো. শাহাদাৎ মৃধা, বিল্লাল মোল্লার ছেলে মনোয়ার হোসেন, বাতেন সরদারের ছেলে রিপন সরদার ও আক্কাস শেখের ছেলে কোবাদ শেখ।

এ ছাড়া অভিযুক্ত আসামিদের কাছ থেকে মঞ্জু শেখের মোটরসাইকেল কেনার অভিযোগে রুবেল বেপারী নামে একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের রহমান ফকিরের পাড়ার বাবলু শেখের ছেলে মঞ্জু শেখ নিজের মোটরসাইকেলে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করতেন। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুরে মঞ্জু শেখ মোটরসাইকেল নিয়ে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করতে বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন রাতে আর বাসায় ফেরেননি তিনি। পরের দিন ২৭ অক্টোবর সকালে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চর দৌলতদিয়া মাঠে একটি খালের পানিতে মঞ্জু শেখের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে লাশ দাফন করতে দেয়। মঞ্জু শেখের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। এ ঘটনায় মঞ্জু শেখের বাবা বাবলু শেখ বাদী হয়ে গোয়ালন্দ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেন। এ ছাড়া পুলিশ মঞ্জু শেখের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার বাদী মঞ্জু শেখের বাবা বাবলু শেখ বলেন, ‘আমার ছেলেকে ওরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যা করে আবার লাশ গুম করে ফেলার চেষ্টা করেছিল। আমি চেয়েছিলাম আসামিদের ফাঁসি দেবেন আদালত। আমরা আশাহত হয়েছি। আমি এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’

রাজবাড়ী আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) উজির আলী বলেন, ‘আদালত ন্যায়বিচার করেছে। এ রায়ে আমি খুশি।’