গ্যাস সংকটের মধ্যেই ফের উৎপাদনে চাঁদপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র
দীর্ঘ ৩৮ দিনপর ফের উৎপাদনে ফিরেছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। গতকাল সোমবার দিনগত রাত ১টায় গ্যাস সংকট নিয়েই ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটের মধ্যে ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন শুরু করেছে কেন্দ্রটি। আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মোহাম্মদ নূরুল আবছার।
এর আগে, গত ৫ এপ্রিল জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকাণ্ডের পর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা জানায়, বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ মেরামত করতে গিয়ে দীর্ঘ ৩৮ দিন বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদন। তবে মেরামত শেষে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলেও গ্যাস সংকট কাটেনি। আপাতত ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটের মধ্যে ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। যদিও ইতোমধ্যে গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা গ্যাস সরবরাহ বাড়ালে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হবে। ’
জানা গেছে, চাঁদপুরের এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট। একটি ১০০ মেগাওয়াট এবং অপরটি ৫০ মেগাওয়াট। ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে ২০১২ সালের মার্চ মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি। চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে একটি চীনা কোম্পানি ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করেন।
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নূরুল আবছার বলেন, ‘২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে দীর্ঘ ১৪ মাস বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। পরবর্তীকালে চলতি বছরের ১০ মার্চ পুনরায় ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস টারবাইন ১০০ মেগাওয়াট ইউনিট উৎপাদনে আসে। কিন্তু অপর ৫০ মেগাওয়াট ইউনিট চালু করা সম্ভব হয়নি। এরপর ৫ এপ্রিল জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ’
