গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় আসামি সুমির বিচার শুরু

আদালত প্রতিবেদক
১৪ মে ২০২৪, ১৬:৩৪
শেয়ার :
গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় আসামি সুমির বিচার শুরু

গৃহকর্মী ফারজানাকে (১৫) গরম খুন্তির ছ্যাকাসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্ত্রী সামিয়া ইউসুফ সুমির (৩৫) বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ আসামির অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জগঠনের এ আদেশ দেন। এ চার্জগঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হলো।

সামিয়া ইউসুফ সুমি কলাবাগান থানার সেন্ট্রালরোডের মফিজবাগ এলাকার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী ফারজানার বাবা বিল্লাল হোসেন ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর কলাবাগান থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তের পর একই বছর ৩০ আগস্ট কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হাজরা চার্জশিট দাখিল করেন। পরে বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি অধিকতর তদন্তে যায়। অধিকতর তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ইন্সপেক্টর মোস্তফা খায়রুল বাশার চার্জশিট দাখিল করেন। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদীর বড় মেয়ে ফারজানাকে ২০১৫ সালে মাসিক তিন হাজার টাকার বিনিময়ে আসামির সামিয়া ইউসুফ সুমির বাসায় কাজে দেন। পরে বিভিন্ন সময় ফোনে ভুক্তভোগী জানায় আসামি তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। বাদী মেয়েকে সান্ত্বনা দিয়ে কাজ করতে বলেন। পরে ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি সুমি ফোনে জানায় ফারজানা খুব অসুস্থ। এরপর ওইদিনই ভুক্তভোগীর মা জোছনা বেগম আসামির বাসায় গিয়ে ফারজানাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান এবং তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভুক্তভোগী কিছুটা সুস্থ হয়ে জানায়, কাজে যোগদান করার পর থেকেই আসামি সুমি বিভিন্ন তুচ্ছ কারণে তাকে মারধর করত। পেটের দায়ে সে সকল অত্যাচার নীরবে সহ্য করে আসছিল। ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি ঘর গোছানো ও বাসনপত্র ভেঙ্গে ফেলার মিথ্যা অভিযোগে এবং কাজে দেরি হওয়ার তুচ্ছ অজুহাতে আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে লাঠি নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে এবং একপর্যায়ে তাকে লোহার খুন্তি গরম করে ভুক্তভোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দেয়। যাতে ভুক্তভোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মক পোড়া জখম হয়।