অবশেষে মুখ খুললেন দেওয়ান পরিবার

বিনোদন প্রতিবেদক
১৪ মে ২০২৪, ১২:০৪
শেয়ার :
অবশেষে মুখ খুললেন দেওয়ান পরিবার

কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের গান ‘মা লো মা’। যা প্রকাশ হয়েছে গেল ৩ মে। প্রীতম হাসানের সংগীতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন আরিফ দেওয়ান, সাগর দেওয়ান ও র‌্যাপার আলী হাসান। ইতিমধ্যেই এটি বাংলাদেশের ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে। কিন্তু এর মধ্যেই গানের গীতিকার নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কোক স্টুডিও পক্ষ থেকে গীতিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে খালেক দেওয়ানের নাম। আর নেত্রকোনার সংস্কৃতিকর্মীদের দাবি- এর স্রষ্টা বাউল সাধক প্রয়াত রশিদ উদ্দিন।

গানটি প্রকাশের পর নেত্রকোনার প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সাহিত্য সংগঠনসমূহ ও সম্মিলিত নাগরিক সমাজ কোক স্টুডিও বাংলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। বিষয়টি নিয়ে এতদিন চুপ ছিল দেওয়ান পরিবারের লোকজন। অবশেষে কথা বললেন সাগর দেওয়ান ও আরিফ দেওয়ান।

আরিফ দেওয়ানের কথায়, ‘এই গানটি আমার দাদা খালেক দেওয়ানের, পাকিস্তান আমলে রেকর্ড করা। ১৯৬০ সালে খালেক দেওয়ান “মা লো মা” গানটি লেখেন, সেসময় “হিজ মাস্টার্স ভয়েস (এইচএমভি)” মিউজিক কোম্পানির (বর্তমান সারেগামা) তত্ত্বাবধানে গানটি রেকর্ডিংও হয়। তখন থেকে আমাদের পরিবার গানটি ও এর ইতিহাস ধরে রেখেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যখনই সুরটি শুনবেন, শরীরে এক ধরনের শিহরণ জাগবে। সঙ্গে ছন্দ ও তাল আপনাকে মুগ্ধ করবে, গানটির প্রেমে পড়ে যাবেন আপনি। “মা লো মা, ঝি লো ঝি/ বইন লো বইন, আমি করলাম কী”- এই দুটি লাইন আমার মনে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে।’

গানটি প্রসঙ্গে সাগর দেওয়ান বলেন, ‘গানটিতে মানুষের জীবন ও এর চক্রাকার প্রকৃতির প্রতিফলন দেখা যায়। যখন আমি থাকব না, তখনও আমার সৃষ্টি ও রেকর্ডগুলো থাকবে। এ ধরনের চিন্তা আমার মনে দীর্ঘদিন ধরেই আছে ও তখন থেকেই “মা লো মা”র প্রতি আমি গভীর ভালোবাসা অনুভব করি।’

গানটি ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক উড়িয়ে দিয়ে প্রবীণ এই শিল্পী জানান, তাদের কাছে আসল রেকর্ডিংসহ অনেক তথ্য-প্রমাণ আছে। আর খালেক দেওয়ানই গানটির আসল লেখক।

সাগর দেওয়ান বলেন, ‘যারা এর বিরোধিতা করছেন, তাদের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে বলুন। ইমদাদুল হক মিলনের “নুরজাহান” উপন্যাসে এই গানের কথা উল্লেখ আছে। গানটি বেশ কিছু সিনেমাও ব্যবহার করা হয়েছে। এই গানের একমাত্র স্বত্তাধিকারী খালেক দেওয়ান।’