সন্ত্রাসীদের দেশ না থাকলেও নেটওয়ার্ক রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ সন্ত্রাসী গ্রুপ এবং পেনাটিক জঙ্গি গ্রুপগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে। যার জন্য শুধু বাংলাদেশসহ আশপাশের দেশগুলোতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের নিজস্ব কোনো দেশ না থাকলেও তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক রয়েছে বিভিন্ন দেশে।
গতকাল রবিবার বিকেলে কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রবিবার সরেজমিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। যেখানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সমস্যা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। মূলত বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার প্রেক্ষিতে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশগত সমস্যা, আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, রোহিঙ্গাদের অনেকেই মাদক পাচার এবং ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিতভাবে আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি। যাতে মিয়ানমারের ওপর কার্যকর চাপ প্রয়োগ করা হয়। যার ফলে মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার দিয়ে ফেরত নিয়ে যায়।
মিয়ানমারের কথা ও কাজে অমিল রয়েছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বারবার লক্ষ্য করছি, মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফেরত নিবে বলে আশ্বাস্ত করলেও গত সাত বছরে একজনকেও ফেরত নেননি। এর মধ্যে আমাদের ওপর অন্য সমস্যা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরের চলমান সংঘাতের কারণে। যার কারণে বিভিন্ন দফায় পাঁচ শতাধিক বিজিপি ও সেনা বাহিনীর সদস্য পালিয়ে আমাদের দেশে এসেছিল। মিয়ানমারের সাথে আলাপ আলোচনা করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। আবার নতুন করে আরও ১৩৮ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে এসেছে। যেখানে একজন লে. কর্ণেল ও ২ জন মেজরও রয়েছেন। তাদের একই প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানোর কাজ চলছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
মিয়ানমারে অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে তাদেরও নানাবিধ সমস্যা তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, এটাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার সঠিক না। মিয়ানমারের সংঘাত আজকের না। ওখানে গত ৭০-৮০ বছর ধরেই ধারাবাহিক সংঘাত চলে আসছে। এই অজুহাতে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।