চুরির অপবাদে ডেকে নিয়ে রিকশাচালককে মারধর, ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই
চুরির অপবাদ দিয়ে ভোলার চরফ্যাশনে হানিফ নামের এক রিকশাচালকের হাত-পা বেঁধে মারধর করে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইউসুফ সিকদারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে আজ রবিবার দুপুরে চরফ্যাশন সদরে একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রিকশাচালক মো. হানিফ।
সংবাদ সম্মেলনে হানিফ জানান, গত ৫ এপ্রিল সকালে তিনি রিকশা চালিয়ে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজারে পৌঁছলে স্থানীয় প্রভাবশালী দুলাল দালালের মাধ্যমে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউছুফ সিকদার খেঁজুর গাছিয়া বাজারে তার গদি ঘরে ডেকে নেন। এ সময় তাকে আটকিয়ে মারধর করে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন। তার ছেলের কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে টিপ (স্বাক্ষর) রাখেন।
হানিফ আরও অভিযোগ করেন, আমি একজন রিকশাচালক। অনেক যাত্রী আমার রিকশায় বহন করি এবং বিভিন্ন মামামাল পরিবহন করে থাকি। গত রমজানের ঈদের আগে একদিন সকালে হাসান নামের এক ব্যক্তি খেজুর গাছিয়া বাজার থেকে আমার রিকশায় একটি নোঙর নিয়ে আসেন চেয়ারম্যান বাজারে। ওই নোঙরটি তিনি বিক্রি করবেন বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন। তবে কোথায় বিক্রি করবেন তা আমার জানা নাই। তবে ইউপি সদস্য ইউসুফ সিকদার প্রকৃত নোঙর বিক্রেতাকে ছেড়ে দিয়ে ওই নোঙরটি বিক্রির সঙ্গে আমি জড়িত এমন সন্দেহে ইউপি সদস্য ইউসুফ সিকদার আমাকে ধরে নিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা বেঁধে আমাকে বেধড়ক মারধর করে আহত করেন। খবর পেয়ে আমার ছেলে মো. কবির খেজুরগাছিয়া গেলে ইউপি সদস্য ইউসুফ সিকদার জোরপূর্বক কবিরকেও আটক করেন এবং আমার জরিমানা বাবদ তার কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে টিপ স্বাক্ষর রেখে দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইউসুফ সিকদার বলেন, ‘স্থানীয় ঘাটের আড়ৎ মালিক ও জেলেদের সিদ্ধান্ত মতে তাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। টাকা পরিশোধের শর্তে তার ছেলের কাছ থেকে একটি স্ট্যাম্প নেওয়া হয়েছে। মারধরের বিষয়টি সঠিক নয়।’
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) এনামুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’