জালভোট দেওয়ার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড, যুবক আটক
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় জালভোট দেওয়ার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন হামিম হোসেন নামের এক যুবক। এ ঘটনায় ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের মনিগ্রামে অবস্থিত একটি ভোটকেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক হামিম হোসেন গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন।
পুলিশ জানায়, আজ দুপুর ২টার দিকে ‘এমডি হামিম হোসেন এসপি’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে জালভোট দেওয়ার ভিডিও আপলোড করা হয়। ফেসবুকে পোস্ট করার সাথে সাথে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। ৪৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ৩টি চেয়ারম্যান, ৩টি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩টি ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যালটে একজন সিল মারছেন। ভোটদানকারী চেয়ারম্যান পদের বেলাল উদ্দিন সোহেলের দোয়াত-কলম মার্কাসহ অন্যান্য পদের পছন্দের প্রার্থীদের প্রতীকে সিল মারেন।
এদিকে, ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ওই কেন্দ্রে ভোট বাতিলের দাবি জানান। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একজন ভোটার ভোটকক্ষে ঢুকে চেয়ারম্যান পদের তিনটা ব্যালট পেপারে জাল ভোট দেন। এটা দেওপাড়া ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে ঘটেছে। তাই দেওপাড়া ইউনিয়নের নির্বাচন বাতিল চেয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, ‘হামিমসহ আরও একজন কেন্দ্রে একসঙ্গে প্রবেশ করেছিলেন। নিজে ভোট দিতে গিয়ে ভোটগ্রহণের গোপন কক্ষের ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়। পরে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘এক সাথে তিনজন ভোটগ্রহণের গোপন কক্ষে প্রবেশ করে তাদের ভোট দেন। তারা কোনো ব্যালেটের বান্ডিল নিয়ে যায়নি। তবে এটি একটি অপরাধ। এছাড়াও তারা কীভাবে একসঙ্গে ৩ জন প্রবেশ করলো, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে তারা এটি অন্যায় করেছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’