নির্বাচনী ব্যবস্থা ‘ধ্বংস’ হয়েছে বলেই ভোটারের ‘আকাল’: মেজর (অব.) হাফিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ মে ২০২৪, ২০:০৮
শেয়ার :
নির্বাচনী ব্যবস্থা ‘ধ্বংস’ হয়েছে বলেই ভোটারের ‘আকাল’: মেজর (অব.) হাফিজ

নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে বলেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে ভোটারের ‘আকাল’ পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির চিত্র তুলে ধরে আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীতে এক স্মরণসভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজকে দেশের গণতন্ত্র নির্বাসনে যাওয়ায় ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে, টেলিভিশনগুলোতে দেখাচ্ছে, কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে। কোনো ভোটার সেখানে যায়নি। কেন এই অবস্থা হলো? কেন মানুষ ভোট দিতে পারে না। কারণ দেশে কোনো আইনের শাসন নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার নেই। ভোট ব্যবস্থাকে ওরা ধ্বংস করে দিয়েছে।’

বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, কোথায় গেল সেই সামাজিক মূল্যবোধ? মানবিক মর্যাদা-সাম্য। আজ ক্ষমতাসীন সরকারের দুঃশাসনের কারণে দেশ থেকে সামাজিক সুবিচার বিলুপ্ত হয়ে গেছে।’

গাজায় নৃশংস বর্বর হামলার ঘটনা তুলে ধরে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘কোথায় আজকে আমাদের ছাত্রসমাজ, কোথায় আমাদের তরুণরা। কোথাও কোনো প্রতিবাদ দেখি না। খোদ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে, আমরা মুসলমান বলে দাবি করি কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনো প্রতিবাদ নেই। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বাংলাদেশের সকল প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গুম-খুন-দুর্নীতির ফলে আমরা একটা নির্জীব জাতিতে পরিণত হয়েছি। এখন আর একাত্তরের মতো অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দেখা যায় না।’

একাত্তরের ছাত্র-তরুণদের কথা ভাবলে এখনো আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন বলে উল্লেখ করেন হাফিজ বলেন, ‘আজকে ছাত্র, তরুণ, যুবকদের সামনে কোনো রোল মডেল নেই। হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পরে একজন উপন্যাসিক বাংলাদেশে তৈরি হয়নি। একজন ভালো কবি-সাহিত্যিকের নাম বলতে পারবেন না। বাংলাদেশের সমাজ নষ্ট সমাজ, রাজনৈতিক অঙ্গন অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। আজকে দেশ ও সাধারণ মানুষের চিন্তা আমাদের ছাত্রসমাজের মধ্যে নেই। যুবকরা আছে হালুয়া-রুটির লোভে আর রাজনৈতিক দলগুলো আছে শুধু ক্ষমতার চিন্তায়। কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে কিংবা কিভাবে ক্ষমতায় থাকা যাবে।’

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান, রুমিন ফারহানা, শামীমুর রহমান শামীম, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, নাসির উল হকসহ আরও অনেকে। আলোচনা সভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সহধর্মিণী শিরিন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।