ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে বাধা কাটল
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এবার হাইকোর্টের দেওয়া সেই আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এর ফলে এই আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণে আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আজ বুধবার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার জাতীয় সংসদের ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।
সৈয়দ মামুন মাহবুব জানান, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া একটি শিটে ৪৯ শতাংশ ভোট গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন বলে দেখা যায়। কিন্তু পরে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এর বিরুদ্ধে নজরুল ইসলাম হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিবাদীদের নোটিশ ইস্যু করে গেজেট স্থগিত করেন। পরে আপিল বিভাগ গেজেট স্থগিতের আদেশ স্থগিত করেন। এর মধ্যে আব্দুল হাই মারা যান। নিয়ম হচ্ছে বিজয়ী প্রার্থী মারা গেলে আবেদনকারীকে বিজয়ী ঘোষণা করা। সেটা না করে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এ কারণে হাইকোর্ট ২১ দিনের জন্য এ নির্বাচন স্থগিত করেন।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল নির্বাচন ভবনে ৩২তম কমিশন সভায় শেষে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ৫ জুন ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা। এই আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সদস্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।