১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ দফায় ১৩৯টি উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ নির্বাচনে ১৫-২০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব বলেন, ‘প্রকৃত হার আরও পরে পাব আমরা। কোথাও কোনো বড় ধরনের বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি। দু-একটি ঘটনা যেখানে ঘটেছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছে।’
জাহাংগীর আলম বলেন, ‘খাগড়াছড়ির লক্ষিরছড়ি উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে বিশৃঙ্খলা হয়। এতে সেখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বগুড়ায় অবৈধভাবে ভোট দেওয়ায় একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। আর দু-এক জায়গায় যে ঘটনা ঘটেছে তাতে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি হয়নি।’
নির্বাচন কমিশন জানায়, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম ও বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
প্রথম ধাপে যে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর, বগুড়ার সারিয়াকান্দা, সোনাতলা ও গাবতলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট, নওগাঁর ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর, নাটোরের নাটোর সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া, সিরাজগঞ্জের সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর ও বেলকুচি, পাবনার সাঁথিয়া, সুজানগর ও বেড়া।
রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোরিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর; নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর; লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা; রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা; কুড়িগ্রামের রৌমারী, চর রাজিবপুর ও চিলমারী; গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি।
খুলনা বিভাগে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়ার খোকসা, কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও দামুড়হুদা; ঝিনাইদহের ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ; যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর; মাগুরার মাগুরা সদর ও শ্রীপুর; নড়াইলের কালিয়া; বাগেরহাটের বাগেরহাট সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর।
বরিশাল বিভাগের বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়া।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ঢাকা বিভাগের ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জের গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া; নারায়ণগঞ্জের নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর; গাজীপুরের গাজীপুর সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ীর কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর; ফরিদপুরের চরভদ্রাসন, মধুখালী ও ফরিদপুর সদর; মাদারীপুরের মাদারীপুর সদর, শিবচর ও রাজৈর; শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ; নরসিংদীর নরসিংদী সদর ও পলাশ; টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সীগঞ্জের মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া।
ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুরের জামালপুর সদর ও সরিষাবাড়ী; শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী; নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা।
সিলেট অঞ্চলের সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা; সিলেটের সিলেট সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দঃ সুরমা; মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা; হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং।
কুমিল্লা অঞ্চলের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগর, সরাইল; কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, লাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম; চাঁদপুরের মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর; ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্ণীপুরের রামগতি ও কমলনগর।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুন্ডু ও সন্দ্বীপ; কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদর ও মহেশখালী; খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি, লক্ষ্ণীছড়ি, রামগড়, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা; রাঙ্গামাটির রাঙ্গামাটি সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবানের বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম।