চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের গোপন বৈঠক, গ্রেপ্তার ৬

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
০৬ মে ২০২৪, ২৩:৫৫
শেয়ার :
চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের গোপন বৈঠক, গ্রেপ্তার ৬

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর  পক্ষে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে ৫ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও এক সহকারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ১০ প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে পরিবর্তন করেছেন রিটানিং কর্মকর্তা।

আজ সোমবার রাত ১০টায় জেলা প্রশাসকের হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন সদর উপজেলার যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, এস বি রেলওয়ে কলোনী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক আবু সামা, বাহুকা কলেজের প্রভাষক বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন আরাফাত এবং তাদের সমন্বয়ক শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুর ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি রবিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার কাদাই এলাকার গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টের অভ্যন্তরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার তালিকাভুক্ত কতিপয় প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য গোপন বৈঠক করছেন। সংবাদ পাওয়ার পরই সেখানে পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিসের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়। তবে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে তাদের পাওয়া যায়নি। অভিযানকালে ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজ ও ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।’

সংবাদ সন্মেলনে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে সোমবার দিনভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও এদের মাস্টারমাইন্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’ তবে কোন প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করা হচ্ছিল সে বিষয়টি আরও তদন্তের পর জানানো হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সন্মেলনে এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৭১টি কেন্দ্র রয়েছে। এ ঘটনার পর ইতোমধ্যে ১০জন প্রিজাইর্ডি কর্মকর্তাকে বদল করে নতুন ১০জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।