এবার অস্ট্রেলিয়ায় ফিলিস্তিনের পক্ষে ক্যাম্পাস বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৫ মে ২০২৪, ১২:৩৩
শেয়ার :
এবার অস্ট্রেলিয়ায় ফিলিস্তিনের পক্ষে ক্যাম্পাস বিক্ষোভ

উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের পর এবার অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক হাজার সমর্থক অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

শুরু থেকেই এই সংঘাতে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে সক্রিয় ছিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। গত মাসের শুরুর দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্প উচ্ছেদ করার পর থেকে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়।

এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য দেশেও। মেক্সিকো, কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বতার প্রতিবাদে অবস্থান নেয়। মেক্সিকের ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন। মেক্সিকো সরকারের কাছে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানান। অন্যদিকে কানাডায় ইউনিভার্সিটি টরোন্টো, ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং ওতাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীরা বেলেপাথরের ভবনের সামনে সবুজ চত্বরে ১০ দিন ধরে আশ্রয়শিবির তৈরি করে অবস্থান বিক্ষোভ করছে। কয়েক ডজন তাঁবু খাঁটানো হয়েছে। তাতে ফেস্টুন, ব্যানার ও ফিলিস্তিনের পতাকা রয়েছে। শিক্ষার্থী ও অন্যান্য কয়েকশো বিক্ষোভকারীর কাছে এটাই হয়ে উঠেছে কেন্দ্রবিন্দু। তারা ইসরায়েলের স্থল অভিযান ও গাজায় বোমাবর্ষণের বিরোধিতা করছে।

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসকরা চাইছেন না সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মার্ক স্কট শিক্ষার্থী ও কর্মীদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তিনি “মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে দায়বদ্ধ” এবং শিবিরকে ভেঙে দিতে তিনি পুলিশ ডাকেননি।