আলোচনার মধ্যেও রাফায় চোখ ইসরায়েলের
গাজায় যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে গতকাল মিশরের রাজধানী কায়রোয় বৈঠক বসেছিল। সেখানে হামাস নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ যোগ দিয়েছিল। গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এবার আলোচনা বেশ অগ্রগতি হয়েছে। হামাস ও ইসরায়েল উভয়পক্ষই সমঝোতার কাছাকাছি রয়েছে। যে কোনো সময় ঘোষণা আসতে পারে। কিন্তু এই আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলি সেনারা গাজার দক্ষিণাঞ্চল রাফায় স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাফায় স্থল অভিযানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সব মহল থেকে ইসরায়েলকে সতর্ক করা হয়েছে। খবর আল জাজিরা।
হামাস নেতারা জানিয়েছে, এই আলোচনাকে তারা ‘ডু অর ডাই’ (কিছু কর, না হলে মৃত্যু) তকমা দিয়েছে। হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান জানিয়েছে, কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। কাতারের প্রতিনিধিরা ইসরায়েলের রাফা অভিযান বন্ধে জোর দিয়েছে। রাফায় প্রায় ১৫ লাখ শরণার্থী রয়েছে। সেখানে স্থল হামলা হলে লাখো ফিলিস্তিনির জীবন বিপন্ন হবে। অন্যদিকে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তারা রাফায় অভিযানের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
এদিকে গতকাল কায়রোয় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস উপস্থিত ছিলেন। রয়টার্স জানিয়েছে, হামাস ও সিআইএ কর্মকর্তারা শনিবার কায়রোতে মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।হামাস জানিয়েছে, একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য দেওয়া সর্বশেষ প্রস্তাবগুলো যাচাই করার পর তাদের প্রতিনিধিরা একটি ‘ইতিবাচক মনোভাব’ নিয়ে কায়রোতে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
রাফা অভিযানে রক্তগঙ্গা বইতে পারে : ডব্লিউএইচও
রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী অনুপ্রবেশ করে আক্রমণ চালালে সেখানে ‘রক্তগঙ্গা’ বয়ে যাবে বলে গত শুক্রবার সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। রাফা শহরে রয়ে যাওয়া হামাস সদস্যদের নিশ্চিহ্ন করতে সেখানে বড় পরিসরে স্থল অভিযানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। প্রায় সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধে গাজার বেশির ভাগ মানুষ এখন রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রাফায় আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১২ লাখ মানুষের ওপর ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস সতর্ক করে দিয়েছেন। এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, গাজার রাফায় সম্ভাব্য পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান নিয়ে ডব্লিউএইচও উদ্বিগ্ন। এর ফলে সেখানে রক্তগঙ্গা দেখা যেতে পারে। সেখানকার ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও দুর্বল হতে পারে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস