কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ২২ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মাটিকাটা, চিতুলিয়াপাড়া, গোবিন্দাসী ও নিকলা নয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলার কাগমারী পাড়ার মিজানুর রহমানের শিশু ছেলে তৌফিক, গোলাবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আলিফা, নিকলা নয়াপাড়ার আজহারের ছেলে আম্বিয়া, নূরুল ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন, গোবিন্দাসী গ্রামের রফিকের শিশু ছেলে শামিউল, মহিউদ্দিনের ছেলে সুজন মন্ডল, চিতুলিয়াপাড়ার গ্রামের মোখলেছ মিয়ার শিশু মেয়ে মনিজা খাতুন, নাজমুল হুদার শিশু ছেলে সাফওয়াল ইসলাম, শাহজাহানের স্ত্রী হোসনে আরা, ভালকুটিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের শিশু ছেলে বায়েজিদ ইসলাম। এছাড়া অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, নিকরাইল উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন। এদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বাইরে থেকে রোগীদের ভ্যাকসিন কিনে আনতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
কুকুরের আক্রমণের শিকার সুজন মন্ডল জানান, সকালে বাড়ির পাশে চড়ানো আমার ছাগলকে আক্রমণ করে অনবরত কামড়াতে থাকলে আমি এগিয়ে গেলে কুকুরটি লাফ দিয়ে এসে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং কামড়াতে থাকে। কুকুরটি মানুষ ও পশু দেখলেই ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন, হাসপাতালে কিছুদিন আগেও কুকুড়ে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবারহ ছিল। ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ায় রোগীদের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। আশা করছি দ্রুতই ভ্যাকসিন সরবাহ করতে পারব।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিন্তে আখতার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজনের ওপর আক্রমণ করা ওই পাগলা কুকুরটিকে দ্রুত ধরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে শুনেছি, গোবিন্দাসী খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয়রা কুকুরটি মেরে ফেলেছে।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ভ্যাকসিন সরবাহ না থাকার বিষয়ে জেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।