উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল স্বামীর বলে দাবি স্ত্রীর, করা হবে ডিএনএ টেস্ট
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মাটি খুঁড়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকা থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাঁচাই গ্রামের রাশেদ গাজীর ছেলে নাজমুল হোসেন শিমুল (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করলেও পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইদ্রিসুর রহমান জানান, গতকাল সকালে বিষ্ণুপুর গ্রামের মনীষ দাস পোল্ট্রি খামারে কাজ করছিলেন। তিনি খামারের পাশে ময়লা ফেলতে গিয়ে মানুষের মাথার খুলি দেখতে পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে জানান। পরে তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে সেখান থেকে মাটি খুঁড়ে মানুষের মাথাসহ বিভিন্ন হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও সেখান থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তার অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তিকে অনেক আগে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে পুঁতে রাখা হতে পারে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট ছাড়া বিস্তারিত বলা সম্ভব না। পরবর্তীকালে পিবিআই, সিআইডি ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এদিকে, কুশুলিয়া ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের জামাত আলী জানান, তার ছেলে ইটভাটার সর্দার ইসমাইল হোসেন (৩৪) ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় এ বিষয়ে কালিগজ্ঞ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ওই সময় র্যাব-৬ এর একটি দল ইসমাইলের বন্ধু ভাটার শ্রমিক নাজমুল হোসেন শিমুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। ওই সময় থেকে ইসমাইল হোসেনের আর সন্ধান পায়নি তার পরিবার। ওই সূত্র ধরে পুলিশ তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে রাতে তার পরিবারের সদস্যদের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যও পুলিশ যাচাই-বাছাই করছে।
তবে নিখোঁজ ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগমের দাবি কঙ্কালটি তার স্বামীর। কারণ তার স্বামী হাতে কালো রাবারের ব্রেসলেট পরতেন। উদ্ধার কঙ্কালের সঙ্গে থাকা ব্রেসলেটটি তার স্বামীর।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন জানান, উদ্ধারকৃত কঙ্কালটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। কঙ্কালটির দাবি অনুযায়ী তার বাবা-মা বা সন্তানের সঙ্গে ডিএনএ টেস্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আদালতের অনুমতি পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।