শনিবার পাঠদান শুরু মাধ্যমিকে রবিবার প্রাথমিকে
দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল শনিবার থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে আগামী রবিবার। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুক্রবার খোলা রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে মন্ত্রণালয় জানায়, ‘শিখন ঘাটতি কাটাতে আগামী শনিবার অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদান অব্যাহত আছে। শুক্রবার প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
রমজান, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের দীর্ঘ ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। গত রবিবার স্কুল-কলেজ চালু হলে শিক্ষার্থীরা অনেক দিন পর ক্লাসে ফেরে। তবে প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। সেসব প্রতিবেদন গত সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির পর স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘বিদ্যালয়গুলোর জন্য আমাদের নির্দিষ্ট কর্মদিবস আছে। এখন প্রয়োজনে শনিবার বিদ্যালয় খোলা রেখেছি। কারণ বেশ কিছুদিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এটি স্থায়ী বিষয় নয়। প্রয়োজনে যে কোনো ছুটির দিন শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আগেও ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এটি নতুন কিছু নয়। শুক্রবারও তো অনেক জায়গায় পরীক্ষা হয়, আগেও হতো। সেটি শুক্রবার হোক, শনিবার হোক, প্রয়োজনে খোলা রাখতে পারবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের একেক অঞ্চলের তাপমাত্রা একেক রকম। এখন উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও হাওর এলাকার তাপমাত্রা কম। তবে অতিবৃষ্টিতে কয়েক দিনের মধ্যেই সেখানে বন্যার কারণে পাঠদান বন্ধ রাখতে হবে। এজন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ বিভিন্ন ছুটির কারণে শুক্রবারেও ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’