সরকার শ্রমিকদের জন্য যা করেছে, অন্য সরকার তা করতে পারেনি : শেখ পরশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ মে ২০২৪, ২১:৩২
শেয়ার :
সরকার শ্রমিকদের জন্য যা করেছে, অন্য সরকার তা করতে পারেনি : শেখ পরশ

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘বর্তমান শ্রমিকবান্ধব সরকার শ্রমিকদের জন্য যা করেছে, অন্য কোনো সরকার করতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, এদেশের খেটে-খাওয়া কর্মজীবী মানুষরাই আমাদের সকল শক্তির উৎস।’ 

মে দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীতে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে সুপেয় পানি, তরমুজ, স্যালাইন ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পরশ।

আজ ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগনাল মোড় এবং বিকেলে যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে মিরপুর-১ গোলচত্বরে তীব্র তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে সুপেয় পানি, তরমুজ, স্যালাইন ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে পরশ বলেন, ‘আজকে মহান মে দিবস। এই মে দিবসে প্রথমে স্মরণ করতে চাই, সেই সকল শ্রমজীবী মানুষদের যারা আমাদের মত ‘‘গাড়িঘোড়া চড়ার’’ লোভ করে না, যাদের স্বপ্ন শুধু মাত্র ন্যায্য এবং মৌলিক অধিকারগুলো আদায় করার মাধ্যমে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকা। একটি ভালো পোশাক আর তিনবেলা দু’মুঠো খাবার, আর রাতে ঘুমাবার জন্য একটা ঘর, এসবই অগণিত শ্রমজীবী মানুষের কাছে ‘‘স্বাধীনতা’’র সমার্থক।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় এদেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে, কথা বলেছে। কিন্তু আমরা দেখেছি ১৯৭৫-এর পর দেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির দীর্ঘ সামরিক স্বৈরশাসন আমলে এদেশের খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষকে নিষ্পেষিত করা হয়েছে, বঞ্চিত করা হয়েছে। ওদের সেই দুর্বিষহ শাসনামলে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে নির্যাতিত হতদরিদ্র মানুষদের দীর্ঘশ্বাস আকাশে-বাতাসে প্রকম্পিত হয়েছে। সেই অভিশপ্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে আমাদের প্রজন্ম বেড়ে উঠতে বাধ্য হয়েছে।’ 

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী আছে বিএনপি-জামায়াত তারা এই দুর্যোগের দিনে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে কিভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যার ক্ষতি করা যায়, দেশের মানুষের ক্ষতি করা যায়, কিভাবে সরকারের পতন ঘটানো যায় সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু এদেশের খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষ, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা শেখ হাসিনার কথা বলে। তাই ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনার পতন ঘটানো সম্ভব নয়।’ 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ ফজলে শামস্ পরশ, চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা।