মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রমাণিত তবুও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ৫টি ইউনিট চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে গাজায় চলমান যুদ্ধের পূর্বে। যা ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের বাইরে ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যে কোনও ইউনিটের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের এই ধরনের ঘোষণা এটিই প্রথম।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথক ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বলে প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। তবে এ ঘটনার পরেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে মার্কিন সামরিক সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখা হবে।
এদিকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, ইসরায়েল চারটি ইউনিটে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং পঞ্চমটির বিষয়ে ‘অতিরিক্ত তথ্য’ দিয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে- সমস্ত ইউনিটই মার্কিন সামরিক সহায়তা পাওয়ার জন্য যোগ্য থাকবে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী হলেও অভিযুক্ত ইউনিটগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে দ্বিচারিতা আছে কিনা জানতে চাইলে প্যাটেল বলেন, ইসরায়েলকে ‘বিশেষ সুবিধা’ বা নীতি নিয়ে ‘দ্বিচারিতা’ বলে কিছু নেই এবং তাদের এসব স্ট্যান্ডার্ড ‘সমস্ত দেশে সমানভাবে’ প্রয়োগ করা হয়।