মামলায় ফাঁসছেন পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের আয়কর রিটার্ন দাখিলে জালিয়াতি ও প্রতারণার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় কর অঞ্চল ৪-এর সার্কেল ৭৯-এর উপকর কমিশনার খন্দকার মো. হাসানুল ইসলাম ও কর অঞ্চল ৮-এর সার্কেল ১৬৫-এর উচ্চমান সহকারী (পিআরএল) হিরেশ লাল বর্মণের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলার অনুমোদন করেছে দুদক।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, গত রবিবার এ মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। শিগগির অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মশিউর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন।
অভিযোগ সংক্রান্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, জেসমিন প্রধান ঢাকা কর অঞ্চল-৮ অফিসের সার্কেল ১৬৫-এর কর্মচারীদের ঘুষ দিয়ে যোগসাজশের মাধ্যমে ২০১৬-১৭ করবর্ষ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত রিটার্ন একই দিনে দাখিল করেন। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কর সার্কেলের যাবতীয় রেজিস্টারে ঘষামাজা করে টাকার অঙ্ক পরিবর্তন ও পরিমার্জন করেন। এ ছাড়া তার আয়কর রিটার্নের সঙ্গে দাখিল করা অডিট প্রতিবেদনও জাল করা হয়। পাঁচ বছরের অডিট প্রতিবেদনগুলো পৃথক থাকার কথা থাকলেও সেগুলো ২০২০ সালে প্রস্তুত করা বলে অনুসন্ধানে প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
জেসমিন প্রধান ঢাকা কর অঞ্চল ৮-এর সার্কেল ১৬৫-এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাধ্যমে রিটার্ন রেজিস্ট্রার ঘষামাজা করে মোট আয়, মোট সম্পদ, নিট সম্পদ, পারিবারিক ব্যয় ইত্যাদি পরিবর্তন করান।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, গত মার্চে কমিশনে এই প্রতিবেদন জমা হয়। পরে প্রতিবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এদিকে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী, কন্যা ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পাপুল অর্থ ও মানবপাচারের দায়ে কুয়েতে দ-িত হয়েছেন।