পিকআপে ঘুরে হেরোইন বিক্রি করতেন সবুজ
পিকআপ ভ্যানের চালক হিসেবে এলাকার সবাই চেনেন মো. সবুজকে (২১)। কিন্তু বাহনটি নিয়ে সর্বক্ষণ এলাকাতেই বিচরণ করায় সন্দেহের উদ্বেগ হয় এলাকাবাসীর। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। রাজধানীর রুপনগর শিয়ালবাড়ী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে পুলিশ দেখে দৌড় দেয় সবুজ। অনেক কষ্টে আটকের পর তার দেহ তল্লাশি করে মেলে ৩ গ্রাম হেরোইন। এত অল্প হেরোইন পাওয়ায় সবুজকে প্রথমে মাদকসেবী হিসেবে ধারণা করে পুলিশ। কিন্তু মিনিট কয়েকের মধ্যেই তার কাছে একের পর এক মাদকসেবীদের ফোন আসতে দেখে ভ্রম কাটে পুলিশের।
জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ জানায়, পিকআপ ভ্যানে মালামাল পরিবহনের আড়ালে ঘুরে ঘুরে হেরোইন সরবরাহ করেন তিনি। পরে অন্য থানা এলাকায় রাখা সবুজের পিকআপের দরজার ভেতরে অভিনব কায়দায় রাখা আরও ২৬ গ্রাম হেরোইন এবং তার পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়।
এই ঘটনায় সবুজের বিরুদ্ধে রূপনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন আভিযানিক দলের প্রধান রুপনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাফিদুল ইসলাম চৌধুরী। আদালতের নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার সবুজকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এসআই রাফিদুল ইসলাম আমাদের সময়কে জানায়, সবুজ সপরিবারে মিরপুর-১১ নম্বর এলাকায় জাকির ঢালীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে রূপনগর থানাধীন চলন্তিকা মোড়স্থ বিসমিল্লাহ টায়ারের সামনে অভিযান চালানোর সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন সবুজ। পরে তার দেহ তল্লাশি করে ৩ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। পরে তার তথ্যে পল্লবীর ৬ নম্বর সেকশনের -ব্লকের ৪ নম্বর এভিনিউতে রাখা একটি নীল রঙের পিকআপ ভ্যানের ডান পাশের দরজার হাতলের খালি জায়গায় পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় আরও ২৬ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, সবুজ মূলত খুচরা মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে পিকআপ চালানোর আড়ালে মাদকসেবীদের অর্ডার অনুযায়ী রূপনগরসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় হেরোইন সরবরাহ করে আসছিলেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি। সবুজ কার কাছ থেকে মাদক কিনে সংরক্ষণ করতেন তাদের তথ্য পাওয়া গেছে। আদালতের নির্দেশে সবুজ বর্তমানে কারাগারে আছেন। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?