১৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়বে বেক্সিমকো
বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) প্রথম ‘আনসিকিউরড জিরো কুপন বন্ড’ সাবস্ক্রিপশন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে এ সাবস্ক্রিপশনের প্রথম ধাপ শেষ হবে ১৫ মে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ৩ এপ্রিল বেক্সিমকোকে মোট ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করার অনুমোদন দেয়। বেক্সিমকোর পক্ষে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডের অ্যারেঞ্জার আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং এর ট্রাস্টি হিসেবে রয়েছে সন্ধানী লাইফ। ‘বেক্সিমকো ১ম আনসিকিউরড জিরো কুপন বন্ড’-এর ডিসকাউন্ট রেট ১৫ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এতে প্রতি ১ লাখ টাকায় মাসিক রিটার্ন আসবে ১ হাজার ২৫০ টাকা।
আরও পড়ুন:
সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে অনীহা ব্যাংকের
এই অপরিবর্তনযোগ্য, পুনরুদ্ধারযোগ্য, আনসিকিউরড বন্ডের লক্ষ্য বাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা, যার মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা শ্রীপুর টাউনশিপকে মায়ানগর প্রকল্প উন্নয়নের জন্য ঋণ হিসেবে প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হবে। বাকি ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বেক্সিমকো লিমিটেডের বিদ্যমান ব্যাংক ঋণ পরিশোধে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উচ্চ হারের রিটার্নের কারণে বিনিয়োগ বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হতে পারে, যেখানে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে মূলধনসহ পাঁচ বছরে মোট রিটার্ন আসবে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বিশেষত অনাবাসী বাংলাদেশি (এনআরবি) এবং স্থানীয় চাকরিজীবীদের জন্য এ রিটার্ন আকর্ষণীয় হতে পারে। কারণ সম্ভাব্য বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে এটি অন্যতম সেরা অফার।
আরও পড়ুন:
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম
বন্ড সাবস্ক্রিপশনে বিনিয়োগের নিম্নসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। তবে সর্বোচ্চ সীমা নেই। ফলে সব ধরণের বিনিয়োগকারীরা এতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। আকর্ষণীয় এ বন্ডটি সীমিত সংখ্যক হওয়ায় দ্রুত বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ‘আগে-আসলে আগে-পাবেন’ ভিত্তিতে এটি কেনার সুযোগ পাওয়া যাবে।
আগ্রহীরা ১৬৯০০ নম্বরে কল করে অথবা এ সংশ্লিষ্ট প্রচারণায় ব্যবহৃত কিউআর কোড স্ক্যান করে বন্ড সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ ধরণের শক্তিশালী আর্থিক পণ্যের মাধ্যমে বেক্সিমকো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদেরও এই উদ্যোগে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করে, যা আকর্ষণীয় আর্থিক মুনাফার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক।