স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাবিননামা, কাজি-সহযোগী কারাগারে

চাঁদপুর প্রতিনিধি
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৯
শেয়ার :
স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাবিননামা, কাজি-সহযোগী কারাগারে

চাঁদপুরের কচুয়ায় মুনতাসীর শাকিল নামের এক ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করায় কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মো. মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কাজী ও তার সহযোগী মামলার হাজিরা দিতে আসলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ আদেশ দেন।

কাজী মো. মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ কচুয়া উপজেলার বরইগাঁও গ্রামের মৃত মাওলানা আবদুর রবের ছেলে।

মামলার বাদী হলেন কচুয়া উপজেলার আইনগীরী নাউলা গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে মুনতাসীর শাকিল।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩০ মে মুনতাসীর শাকিল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। 

ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়, নাউলা গ্রামের আবদুল হাকিমের মেয়ে লাহিনূর আক্তার লুনা (৩৬) কাদলা ইউনিয়নের কাজী মো. মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফের যোগাসাজসে মুনতাসীর শাকিলের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া জাল কাবিননামা তৈরি করে। যে কারণে শাকিল মামলা করেন।

মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে পাঠায়। মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব পান পিবিআই উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফ উল্লাহ। তিনি মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই মামলার হাজিরা দিতে এলে আসামি কাজী মো. মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী, অ্যাড. শেখ আবদুল লতিফ ও অ্যাডভোকেট মো. হেলাল উদ্দিন। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ।