সাবেক স্ত্রীকে নিয়ে কথা বললেন হিল্লোল
শোবিজে একসময়ের আলোচিত তারকা দম্পতি আদনান ফারুক হিল্লোল ও শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। ভালোবেসে ২০০৬ সালে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক বছর পরই সংসারে শুরু হয় কলহ। এরপর ২০০৯ সাল থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন তিন্নি-হিল্লোল। অবশেষে বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন আলোচিত এই তারকা জুটি।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক স্ত্রীকে নিয়ে কথা বলেছেন হিল্লোল। জানান, বিচ্ছেদের কারণ ও তাদের বর্তমান সম্পর্কের কথা।
সাবেক স্ত্রী তিন্নিকে নিয়ে একটা সময় অনেক আলোচনায় ছিলেন। এখন মাঝেমধ্যে বিষয়টি যখন অন্তর্জালে আসে, তখন কি মনে কোনো রেখাপাত করে? এমন প্রশ্নের উত্তরে হিল্লোল বলেন, ‘রেখাপাত করে না। কারণ আমি জানি, ডিজিটাল কনটেন্টটা আসলে কী? এই প্রশ্নও ডিজিটাল রিচ। সে কারণে আমি যেহেতু ডিজিটাল কনটেন্ট নিয়ে কাজ করি, আমি জানি যেসব কনটেন্ট ক্রিয়েটররা রিচ চান। এটা স্বাভাবিক বিষয়। আর ৯০ শতাংশ সম্পর্ক ভাঙার সময় দ্বন্দ্ব হয়।’
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
তিনি আরও বলেন, ‘তিন্নির সঙ্গে এখন খুব ভালো সম্পর্ক। আমার মেয়ের ১৬ বছর চলছে। ও ক্লাস নাইনে পড়ে। আমাদের মেয়ের কারণেও যোগাযোগ করতে হয়। বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গেও তিন্নির নিয়মিত যোগাযোগ হয়। ছোট মেয়েকে তো সময় দেওয়া হয়। বড় মেয়েকে বছরে একবার সময় দেওয়া হয়, যখন কানাডাতে যাই।’
তিন্নি-হিল্লোল সম্পর্ক থেকে কোনো শিক্ষা কী পেয়েছেন? এই অভিনেতার ভাষ্য, ‘ওখান থেকে কোনো শিক্ষা পাইনি। ওটা ভুল ছিল। আমার কিংবা তার দিক থেকে হতে পারে। ওর-ও হয়তো ভুল ছিল। তবে বর্তমান সম্পর্কে (হিল্লোল- নওশীন নেহরিন মৌ) সেই ভুলটা হয়নি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আজকে আমাদের সম্পর্কের ১৪ বছর পর এসে বলতে পারি, সেই ভুলটা হয়তো এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে হয়নি।’
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
অভিনয়ে আগের মতো দেখা যায় না কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে এই হিল্লোল বলেন, ‘২০১৭-১৮ থেকে নাটকে কাজ করছি না। আমি আসলে উপভোগ করছিলাম না। যে ধরনের কাজ হতো, সেগুলো এনজয় করতাম না। ২০০৩ সালে আমার একটা নাটক ছিল “স্পর্শের বাইরে”। ওই নাটকের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাই। মানুষ রাস্তায় দূর থেকে ডাকত। তখন আসলে যে কোয়ালিটির কাজ হতো,পরবর্তী সময় সেটা আর হচ্ছিল না। ২০১০ সালের দিকে আরও পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকল। ২০১৭-১৮তেও প্রচুর কাজের চাপ ছিল। শরীরে কুলাত না। নাটকগুলোর কোনো সাড়া পেতাম না।’