মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও স্বাধীনতা অর্জনে মুজীবনগর সরকারের ভুমিকা নিয়ে আরো ব্যাপক গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক নেতারা। একই সঙ্গে সঠিক ইতিহাস জানতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আর সি মজুমদার আর্টস অডিটেরিয়ামে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ ঢাবি শাখা আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘মুজীবনগর সরকার গঠন না হলে হয়তো দেশ স্বাধীন হত না। সেই মুজীবনগর সরকার কোনো ধর্মের ওপর নয়, বরং বাঙালিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে। এখন ধর্মকে আমরা রাজনৈতিকভাবে ব্যাবহার করছি।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বা মুজিবনগর নিয়ে এখনো গবেষণা হয়নি। এ নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।
ইতিহাসে মার্চ ও ডিসেম্বর মাস প্রাধান্য পায়, পিছিয়ে থাকে এপ্রিল মাস। অথচ এপ্রিল না থাকলে হয়তো ডিসেম্বর আসত না (মুজিবনগর সরকার গঠন না হলে হয়তো ডিসেম্বরের স্বাধীনতা আসতো না)। এটি শুধু স্বাধীনতার লড়াই ছিল না, এটি ছিল অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তা গঠনের লড়াই। স্বাধীনতার পরও অনেকেই লড়ছেন বাঙালির জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে। তারা দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর ঢাবি শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া।
এ ছাড়া ভারত থেকে আগত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে নিজেদের অনুভূতি ব্যাক্ত করেন আসাম রাজ্যের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. সৌমেন ভারতীয়া ও প্রখ্যাত লেখিকা অধ্যাপক ড. রীতা চৌধুরী।