কায়সার কামালকে আত্মস্বীকৃত অপরাধী বললেন ব্যারিস্টার খোকন
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে আত্মস্বীকৃত অপরাধী বললেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ পদে দায়িত্ব নেওয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ ফোরামের মহাসচিব। তিনিও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন, তবে বিজয়ী হতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা বার নির্বাচনে অংশ নেই। সেই নির্বাচনে আমরা ১৪টি পদের মধ্যে ১২টিতে জয়ী হতাম। কিন্তু কায়সার কামাল তিনবার সরকারের প্যানেলের পক্ষে কাজ করায় আমরা সভাপতিসহ চারটি পদে জয়ী হয়েছি। নির্বাচনের পর ভোট গণনা থেকে আমাদের এজেন্টদের কেন সরিয়ে নেওয়া হলো।’
তিনি বলেন, ‘এজেন্টদের সরিয়ে নেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগকে ওয়াকওভার দেওয়া। অর্থাৎ বার নির্বাচনে সরকারকে জেতানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন কায়সার কামাল। এই ষড়যন্ত্রের মূলে ছিল ভোট গণনার সময় এজেন্টদের সরিয়ে নেওয়া। যদি এজেন্টদের সরিয়ে নেওয়া না হতো তাহলে আমরা ১২ পদে জয়ী হতাম।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
প্রশ্ন রেখে বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘তারেক রহমান আমাদের প্যানেল ঘোষণা করেছেন। বিএনপির পার্টি অফিসে সবার উপস্থিতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। তারেক রহমান তো বলেনি তোমরা ভোট গণনায় যেও না, সভাপতির দায়িত্ব নিও না। তাহলে দায়িত্ব নিও না— এ কথা বলার কায়সার কামাল কে?’
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা ১২ পদে জয়ী হতাম তাহলে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের আন্দোলন শক্তিশালী করতে পারতাম। কার সঙ্গে আতাঁত করে কায়সার কামাল সরকারকে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী করার পেছনে কাজ করছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে ওয়াকওভার দেওয়া।’
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘বার নির্বাচনে আমরা সরকারের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু কায়সার কামালের ষড়যন্ত্রের কারণে সেই যুদ্ধে পুরোপুরি জয়ী হতে পারিনি। তিনি নির্বাচনের সময় উপস্থিত না থেকে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। তারেক রহমানের ঘোষিত প্যানেলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
কায়সার কামালের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তিনি একজন আত্মস্বীকৃত অপরাধী। তিনি কীভাবে আইনজীবীদের নেতা হন? নৈতিক স্থলনের কারণে আইনজীবী ফোরাম থেকে তার সদস্যপদ থাকা উচিত নয়। সরকারের এই এজেন্টকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। আমি মনে করি কায়সার কামালের ভূমিকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের তদন্ত করা উচিত।’
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন,‘ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ছিল টিএইচ খানের মতো আইনজীবীদের নেতৃত্বে। সেই সংগঠনকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম করেন কায়সার কামাল। এই সংগঠনের কোনো গঠনতন্ত্র নাই। যদি গঠনতন্ত্র না থাকে তাহলে কীভাবে আমাকে অব্যাহতি দেন। এই অব্যাহতির সিদ্ধান্ত আইনগত কার্যকারিতা নাই।’
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময় কায়সার কামালদের ভূমিকা কী ছিল? কোথায় ছিলেন তিনি ওই সময়?’