এমন গল্প-চরিত্রে কাজ করতে চাই যে চরিত্রে দর্শক আগে দেখেনি
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। সম্প্রতি দ্বিতীয় সিনেমার ঘোষণা দিলেন তিনি। ‘প্রিয় মালতী’ নামের ছবিটি নির্মাণ করেছেন শঙ্খ দাসগুপ্ত। নতুন এই সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- জাহিদ ভূঁইয়া
‘সাবা’ এখনো সম্পাদনার টেবিলে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় সিনেমার খবর দিলেন। দর্শক আগে কোনটি দেখতে পাবেন?
যতদূর শুনেছি, ‘প্রিয় মালতী’ই আগে মুক্তি পাবে। আর সেটা সম্ভবত চলতি বছর। সেই হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে চরকি ও ফ্রেম পার সেকেন্ড।
‘প্রিয় মালতী’তে যুক্ত হলেন কীভাবে?
গত বছরের এপ্রিলে শঙ্খদা (পরিচালক শঙ্খ দাসগুপ্ত) আমাকে গল্পটি শোনান। সাধারণত এ ধরনের গল্পে সিনেমা নির্মাণ করতে বেশিরভাগ প্রযোজক পিছিয়ে যান। এদিক থেকে প্রযোজকদের ধন্যবাদ দিতে চাই, নারীকেন্দ্রিক এমন গল্পকে প্রমোট করার জন্য। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর নিজেকে প্রস্তুতের জন্য সময় নিই। শুধু আমি একা নই, টিমের সবাই শুটিং শুরুর আগে দীর্ঘ সময় রিহার্সাল করেছে। গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে শুটিং করেছি আমরা।
গত বছর শুটিং করেছেন, আর সম্প্রতি সেই খবর জানালেন। বিশেষ কোনো কারণ আছে?
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
টিমের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার জন্মদিনে (১৯ এপ্রিল) খবরটি সবাইকে জানানো হয়। আমার কাছেও জন্মদিনে সিনেমার ঘোষণা খুব স্পেশাল। এই সিনেমায় দর্শক ভিন্ন এক মেহজাবীনকে দেখতে পাবেন। সব সময় এমন গল্প-চরিত্রে কাজ করতে চাই, যে চরিত্রে দর্শক আগে দেখেনি। মালতীও এমন চরিত্র। এছাড়া পুরো গল্পজুড়ে মালতী যেসব জটিলতার মুখোমুখি হয়েছে, সেটিও আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা।
অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোটি ভিউয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে আপনার নাটক। কেমন লাগে?
চমৎকার। তবে এ আনন্দ কিন্তু আমার একার নয়, পুরো টিমের। নাটক যত দর্শক দেখবেন, কাজের চাহিদা তত বাড়বে। কাজের চাহিদা বাড়লে সবার কাজ বাড়বে। ইন্ডাস্ট্রি সামনে এগিয়ে যাবে।
কিন্তু নাটকসংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ বলেন ‘ভিউ’ ‘ভিউ’ করে এই মাধ্যমকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কী বলবেন?
এসব কথা যারা বলেন, তারাই বিষয়টি নিয়ে ভালো বলতে পারবেন। ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কথা বলার মতো এত বড় মানুষ আমি এখনো হইনি। নিজের কাজ নিয়েই ভাবি। দর্শকের ভালো কিছু উপহার দেওয়ার চিন্তা করি।
আরও পড়ুন:
ফের জুটি হলেন মম-শ্যামল
নাটকের অনেক বড় তারকাই এখন ওটিটিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আপনিও সেই দলে আছেন। এই মাধ্যমের ভবিষ্যৎ কেমন বলে মনে হয়?
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করার বিষয়টিকে আমি পজিটিভলি দেখি। শিল্পীদের অভিনয় ক্ষেত্র বিস্তৃত হচ্ছে, অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছে। যেটা দেশের জন্য কিংবা শিল্পীদের জন্য খুবই ভালো। ওটিটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- ভালো বাজেট। যে কোনো ভালো কাজের জন্য বাজেট কিন্তু একটা বড় বিষয়। এই মাধ্যমে কাজের জন্য ভালো বাজেট থাকে। এই মাধ্যমে শিল্পীরা স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারে, নিজেদের আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপন করার সুযোগও রয়েছে এখানে। সবকিছু মিলিয়ে এই মাধ্যমের ভবিষ্যৎ ভালো বলেই আমার মনে হয়।
আপনার প্রিয় অভিনয়শিল্পী কে?
এই প্রশ্ন আমাকে প্রায় শুনতে হয়। কিন্তু ভারতের একটি টিভি অনুষ্ঠান দেখার পর এর উত্তর দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আমি মনে করি, এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে ভয়ানক কিছু ঘটে যেতে পারে। পছন্দের অভিনয়শিল্পীদের কথা বললে একটা তালিকা করতে হয়। আর শেষের দিকে যাদের নাম থাকবে, তাদের মন খারাপ হতে পারে। এতে ওই অভিনয়শিল্পী কষ্ট পেতে পারেন। এটা একজন মানুষের ব্যক্তিজীবনে বেশ প্রভাব ফেলে।
নতুন যারা অভিনয়ে আসতে চান, তাদের উদ্দেশে কী বলবেন?
আরও পড়ুন:
মারা গেলেন পরীমনির নানা
পুরুষতান্ত্রিক এই ইন্ডাস্ট্রিতে যেসব তরুণ-তরুণী স্বপ্ন দেখে বৈষম্যকে হার মানিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার, তাদের একটা বার্তাই দিতে চাই নিজেকে নিয়ে কাজ করতে হবে। তোমার কাজই তোমাকে সমতা এনে দেবে। তোমার পরিশ্রমের সামনে যেন বৈষম্যকারীরাও ছোট হয়ে যায়।